ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেড়েছে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান, কমেছে অনুত্তীর্ণের

ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১
বেড়েছে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান, কমেছে অনুত্তীর্ণের

ঢাকা: এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ ৫ প্রাপ্তি বাড়ার সাথে বেড়েছে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। পাশাপাশি কমেছে শতভাগ অনুত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান।

এবছর আটটি শিক্ষা বোর্ড থেকে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ১২ লাখ ৩১ হাজার ৮৮০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ৮৩৮ জন।

বুধবার এই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী এই ফলাফলকে সন্তোষজনক বলেও উল্লেখ করেছেন।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, আট বোর্ডে ১৮ হাজার ৪৮৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৮২৭টি, শতভাগ অনুত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান ১০৭টি। গত বছর ১৮ হাজার ২০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৮৬৩ এবং অনুত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭২টি। এবার বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২১, গত বছর ছিল ৮৬ জন।

ঢাকা বোর্ডে ৪ হাজার ৫১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪২৮, অনুত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান ১১টি এবং বহিষ্কারের সংখ্যা ছিল ৪৬ জন। গত বছর এখানে ৪ হাজার ৪৫৫ প্রতিষ্ঠানের ৩০৮টি থেকে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়েছে। অনুত্তীর্ণ ১৪টি এবং বহিষ্কারের সংখ্যা ছিল ১৬ জন।

রাজশাহীতে ২ হাজার ৮৯০ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৯৬, অনুত্তীর্ণ ৩৮ এবং বহিষ্কারের হয় ৮ শিক্ষার্থী। গত বছর ২ হাজার ৮৫৩ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ১৪, অনুত্তীর্ণ ৬৩ এবং বহিষ্কারের ছিল ৩ জন।

কুমিল্লায় ১ হাজার ৭৩২ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৩৩৪, অনুত্তীর্ণ না থাকলেও বহিষ্কার হয় ২৭ শিক্ষার্থী। গত বছর ১ হাজার ৭০৮ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ১২৫, অনুত্তীর্ণ ৩ এবং বহিষ্কার ছিল ২৭ জন।

যশোর বোর্ডে ২ হাজার ৬৯০ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৪৬, অনুত্তীর্ণ ১৬ এবং বহিষ্কার হয় ১১ শিক্ষার্থী। গত বছর ২ হাজার ৬৪৩ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৭০, অনুত্তীর্ণ ৩৬ এবং বহিষ্কার ছিল ৮ জন।

চট্টগ্রামে ১ হাজার ৭৯ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৪৬, অনুত্তীর্ণ ১৬ এবং বহিষ্কার হয় ১১ শিক্ষার্থী। গত বছর ২ হাজার ৬৪৩ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৭০, অনুত্তীর্ণ ৩৬ এবং বহিষ্কার ছিল ৮ জন।

বরিশালে ১ হাজার ৬৩৭ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৫৫৯, অনুত্তীর্ণ ২ এবং বহিষ্কার হয় ৩ শিক্ষার্থী। গত বছর ১ হাজার ৬১৯ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ২৩৮, অনুত্তীর্ণ ১৬ এবং বহিষ্কার ছিল ৯ জন।

সিলেটে ৬৩৭ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ৭০, অনুত্তীর্ণ না থাকলেও বহিষ্কার হয় ২ শিক্ষার্থী। গত বছর ৮২২ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ২৭, অনুত্তীর্ণ ৬ জন।

দিনাজপুরে ৩ হাজার ৬৮ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ২৪২, অনুত্তীর্ণ ৪০, বহিষ্কার সংখ্যা ১৯। গত বছর ৩ হাজার ৪২ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ উত্তীর্ণের সংখ্যা ১৬, অনুত্তীর্ণ ১৩০ এবং বহিষ্কারের সংখ্যা ছিল ১০ জন।

এছাড়া এবছর মাদ্রাসা বোর্ড থেকে ৯ হাজার ১২৫ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪টি। শতভাগ অনুত্তীর্ণের সংখ্যা ৩৪টি। এবছর বহিষ্কার হয় ১৫৪ জন। গত বছর ৯ হাজার ৮৫ প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পাশের সংখ্যা ছিল ২, অনুত্তীর্ণ ৯৫ এবং বহিষ্কার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২৯ জন।

ফলাফল প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষা সূচকের সকল ক্ষেত্রেই ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই শিক্ষাক্ষেত্রে আজ এ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ‘
 
ফলাফল ‘সন্তোষজনক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, পাসের হার বেড়েছে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে।

অন্যদিকে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে এবং একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি- এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যাও গতবারের তুলনায় কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।