ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাকা বোর্ডের শীর্ষ ১০-এ ময়মনসিংহের ৩ প্রতিষ্ঠান

আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১
ঢাকা বোর্ডের শীর্ষ ১০-এ ময়মনসিংহের ৩ প্রতিষ্ঠান

ময়মনসিংহ : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ময়মনসিংহের গার্লস ক্যাডেট কলেজ, বিদ্যাময়ী সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ জিলা স্কুল। ঢাকা বোর্ডের শীর্ষ ১০-এ স্কুলগুলোর স্থান যথাক্রমে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও দশম।

স্কুল ৩টি তাদের অর্জনের খাতায় যোগ করেছে সাফল্যের আরেকটি সোনালী পালক।

ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজঃ ঢাকা বোর্ডে ৬ষ্ঠ স্থান দখল করেছে এ কলেজটি। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫৪ জন। পাস করেছে সবাই। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন।

সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত এ ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটরা শুরু থেকেই শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা ও নিরলস অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মতো জে.এস.সিতেও ভালো ফলাফল অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

বুধবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে কলেজের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল দেবার পর পরই আনন্দে আতœহারা হয়ে ওঠে মেধাবী ক্যাডেটরা। তাদের সাথে এসে যোগ দেন কলেজটির সাফল্যের অন্যতম রূপকার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ শফিকুল আজম।
ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ শফিকুল আজম বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে অতিরিক্ত বিষয়ের নম্বর যোগ হয়। সেক্ষেত্রে জিপিএ-৫ পাওয়া মোটামুটি সহজ। কিন্তু জেএসসির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ক্যাডেটদের এ ফলাফলে আমি উচ্ছ্বসিত। ’

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী মাশরুমা তানজিন (রোল নম্বর- ৪৩৩৬৭৫) বলেন, ‘শিক্ষকরা সব সময় দেখাশুনার মধ্যে রাখায় এ ফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও আমি এ ধারা অব্যাহত রাখতে সর্বাতœক চেষ্টা চালাবো। ’

মেধাবী এ ক্যাডেট ভবিষ্যতে সেনা কর্মকর্তা হতে চায়।

নিজের সাফল্যের কথা জানিয়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আরো দু’ মেধাবী ক্যাডেট রিতুমা অহনা (রোল- ৪৩৩৬৭৭) ও তাসলিমা আক্তার রিমা (রোল- ৪৩৩৬৬৮) বলেন, ‘নিজের ফলাফলে আমরা খুশি। তাছাড়া আমরা ঢাকা বোর্ডে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জনকারী এক ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী, এটিও তো কম আনন্দের নয়। ’

বিদ্যাময়ী সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় : ঢাকা বোর্ডে ৭ম স্থান দখল করেছে  স্কুলটি। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৯৭ জন। পাস করেছে ২৯৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮১ জন। বিকেল ৩ টার দিকে এ স্কুলে ফলাফল প্রকাশের পর আনন্দ-উল্লাস শুরু করে মেধাবী কিশোরীরা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কদমবুচিও করতে দেখা যায়। মেধাবীদের উচ্ছ্বাসে এ সময় স্কুল আঙিনায় সৃষ্টি হয় অন্য রকম আবহ ।

এ স্কুলের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আফিয়া জাহান প্রেমা (রোল- ৪২৭৮১৭) জানান, ‘এ ফলাফলে আমি খুব খুশি। সাফল্যের পেছনে রয়েছে আমার মা জাহানারা বেগমের অবদান। আমি বড় হয়ে প্রকৌশলী হতে চাই। ’

আরেক মেধাবী শারিতা শাহনাজ মগ্ন (রোল- ৪২৭৮১৪) বলেন, আমি ভবিষ্যতে ভাল ফলাফল করে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। এ সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার বাবা আহসান হোসেন কবির। ’

এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিন বানু বলেন, শিক্ষকম-লী ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত পরিশ্রম ও চেষ্টার মাধ্যমেই এ ফলাফল অর্জিত হয়েছে। ঢাকা বোর্ডে ৭ম স্থান অর্জন করায় আমি ময়মনসিংহবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ‘

ময়মনসিংহ জিলা স্কুল : ঢাকা বোর্ডে ১০ম স্থান দখল করেছে স্কুলটি। এ স্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৭১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৭০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪১ জন। এ স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট থেকে ফলাফল নিয়ে নেন। স্কুল আঙিনায় গুটিকয়েক শিক্ষার্থীকে রেজাল্ট নিতে আসতে দেখা যায়।

এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইউনুছ ফারুকী জানান, ‘স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রয়াসে এ অসাধারণ ফলাফল অর্জিত হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।