ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবি’তে ছাত্রহত্যা : উপাচার্যপন্থী ও বিরোধী শিক্ষকরা মুখোমুখি

জাবি প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১২

ঢাকা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্র হত্যাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। সকাল ১০টা হতেই শহীদ মিনারের পাদদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জমায়েত হতে থাকে।



অপরদিকে অমর একুশের পাদদেশে উপাচার্য বিরোধী ও জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা জমায়েত হয়।  

সকাল ১১টার দিকে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকরা র‌্যালির মাধ্যমে তাদের দিনের কার্যক্রম শুরু করে। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে শেষ হয়। সেখানে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষকরা।

সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক নাসরিন খন্দকার বলেন, ‘যে শত্রু আড়ালে থাকে তারা অনেক ভয়ঙ্কর। তারা পেছন থেকে ছুরি মারে, যা কেউ দেখতে পায়না। এদের চিহ্নিত করতে হবে এবং আইনের আওতায় এনে সাজা দিতে হবে। ’

তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসন মাতৃত্বকালীন ছুটি বাদ দিয়ে শিক্ষকদের জোরপূর্বক চাকরিতে যোগ দিতে বাধ্য করছে।

সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘জুবায়ের হত্যার বিষয়টি প্রশাসন জানেন না, এটি হতে পারেনা। বিষয়টিকে প্রশাসনের পক্ষ হতে লুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. এ এম মামুনকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এএম মামুন যে পদক পেয়েছেন বাংলাদেশের কোন ব্যক্তি এতবড় পদক পাননি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এ বিজ্ঞানী ড. এ এম মামুন শুধু মাটির টানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আছেন। ক্যাম্পাসের একটি মহল তাকে তাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ‘

অপরদিকে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে। ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এই ব্যানারে সকাল ১১টায় তারা জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে সমাবেশ করে। এ সময় তারা জুবায়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে।

সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আমির হোসেন নিহত জুবায়েরের পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে বলেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় যদি প্রক্টর জড়িত থাকে এমন ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারলে আমি চাকরি ছেড়ে দেব।

এদিকে একাধিক শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রক্টর ওইদিনের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এম মামুনের কোর্ট এবং শার্টের কলার ধরে টানাটানি করেছেন।

এদিকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক সমিতির সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদের বিক্ষোভ মিছিল এবং শাস্তি দাবি করেছে।

‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এই ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করছে। মিছিলে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বেশির ভাগ বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

বাংলাদেশ সময় : ১২৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।