ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

৮ মাস পর ইবি ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
৮ মাস পর ইবি ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার ইবি ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার। ছবি: বাংলানিউজ

ইবি (কুষ্টিয়া): বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত ৮ মাস ধরে বন্ধ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। তবে সীমিত পরিসরে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম।

একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে।  

সনদপত্রসহ আনুষঙ্গিক কাজের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কিছু আনাগোনা থাকলেও সেটা অত্যন্ত নগণ্য। প্রয়োজনের তাগিদে ক্যাম্পাসে আসলেও দেখা মেলে না চিরচেনা আড্ডার সেই সুখস্মৃতিগুলো। ডায়না চত্বর, বটতলা, কফি শপ, ফুটবল মাঠ, লেক, টিএসসিসি, পুকুরপাড়সহ আড্ডার মূল কেন্দ্রগুলো শনিবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্তও ছিল শিক্ষার্থী শূন্য। আড্ডা, খুনসুটিতে মেতে ওঠা জায়গাগুলো অপেক্ষমান ছিল শিক্ষার্থীদের পদচারণার জন্য।

দীর্ঘদিন পর আবারও সেই চিরচেনা জায়গাগুলো আজ পূর্ণতা পেয়েছে শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনকে ঘিরে নানা প্রতিকূলতাকে এড়িয়ে যোগ দিয়েছেন মিলন মেলায়। প্রকৃতি তার নিজস্ব আসন পেতে দিয়েছে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে।  

দীর্ঘ আট মাস পর দ্বিতীয় পরিবারের সান্নিধ্য পেয়ে শিক্ষার্থীরা দিনভর ছুটে বেড়াচ্ছেন এক চত্বর থেকে আরেক চত্বর। করোনার বাধায় মনের ভেতর জমে থাকা আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করছে বিভিন্ন আঙ্গিকে। পরিবারের অনুপস্থিতিতে আপন হয়ে ওঠা সহপাঠীদের পেয়ে আনন্দের যেন সীমা নেই শিক্ষার্থীদের মনে।  

ইবি ক্যাম্পাসে প্রাণের সঞ্চার

দীর্ঘ দর্শনে ভুলেই গেছেন তারা করোনা নামক মহামারিকে। শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতির কাছে হার মেনে গেছে করোনা নামক প্রাণঘাতী ভাইরাস। একে অপরকে জড়িয়ে ধরা, একসঙ্গে সেলফিতে আবদ্ধ হওয়া কিছুই বাদ যায়নি শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতিতে।  

নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আফরোজা রোজা বাংলানিউজকে বলেন, এত দিন পরে সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে মনে হলো যেন, খুশি যেন বাধ মানছে না। প্রিয় মুখগুলোতেও যেন আনন্দ উছলিয়ে পড়ছে। কফি শপের ধোয়া উঠা চা, কফির স্বাদ স্মৃতির পাতা উলটাতে যেন প্রভাবক হিসেবে কাজ করছিল। কতগুলো কাপ চা আর কফি যে এক বসাতে শেষ হলো তার হিসাব আর নিজেদের রাখা হয়নি। গল্প চললো সংগঠন, সাংস্কৃতিক চর্চা থেকে রাজনৈতিক বলয় নিয়েও। এই স্বাভাবিকতা প্রতিদিন চাই। সব আগের মতো ঠিক হোক আর বন্ধুত্বের বাধন গুলো শক্ত হোক আরও, এই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।