ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘জাতিকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
‘জাতিকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়’ বক্তব্য রাখছেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন, একটি জাতি গঠন ও অগ্রগতি কেমন হবে এর পেছনে বুদ্ধিজীবীরা প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেন। বাঙালি জাতি যেন পুরোপুরি মেধাশূন্য হয়ে যায়, এজন্য আলবদর ও আল শামসের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের ঠিক আগে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

 

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাতের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে যবিপ্রবি পরিবারের সদস্যরা কালোব্যাজ ধারণ করেন। করোনার কারণে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যবিপ্রবিতে এবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।    
  
সভায় আনোয়ার হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বুদ্ধিজীবী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক এলাকা থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেন এবং প্রয়োজনীয় রসদও সরবরাহ করেন। অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত ও জাতির প্রতি অনুগত এসব বুদ্ধিজীবীরা তাদের মেধা-মননের কারণে জাতির জন্য ছিলেন অপরিহার্য। তাই বাঙালি জাতি কখনোই যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে এজন্য তাদের হত্যা করা হয়।  

তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে দু’জনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের জানা মতে, তারা এখন ইংল্যান্ডে আছেন। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অতিদ্রুত তাদের দেশে এনে ফাঁসিতে ঝুলানো হোক। তাহলে বাঙালি জাতি হিসেবে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আমাদের যে ঋণ আছে, তা কিছুটা হলেও শোধ হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রউফ প্রমুখ।  

এ সময় যবিপ্রবির বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।  

আলোচনা সভার পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
ইউজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।