ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শ্রেণিকক্ষ ডুবে থাকায় ক্লাস করতে হলো রাস্তায় পাটি বিছিয়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
শ্রেণিকক্ষ ডুবে থাকায় ক্লাস করতে হলো রাস্তায় পাটি বিছিয়ে

বরিশাল: বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নবআদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পানিতে ডুবে থাকায় শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।

প্রায় দেড় বছর পরে বিদ্যালয় চালু হলেও পাঠদান হয়েছে রাস্তায় পাটি বিছিয়ে।

খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রোমান্স আহমেদ।

দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নবআদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম খান বলেন, সকালে যখন বিদ্যালয়ে আসি তখনই পার্শবর্তী নদীর জোয়ারের পানিতে গোটা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ তলিয়ে ছিলো। মাঠে ৪ থেকে সাড়ে ৪ ফুট, আর বিদ্যালয়ের ভেতরে বিভিন্ন কক্ষ এক থেকে দেড়ফুট পানিতে ডুবে ছিলো।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাই। পরে বিদ্যালয় সংলগ্ন উঁচু সড়কে পাটি বিছিয়ে ক্লাস নিয়েছি।

তিনি বলেন, রোববার প্রথমদিনে ৭০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিলো। পানির কারণে বাঁশ-কাঠের তৈরি আমাদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ডুবে থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাঠ গ্রহণ থেকে বিমুখ করিনি। আজ তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নিয়েছি। আর পানির কারণে শিক্ষকরা বিদ্যালয় কক্ষে বসতে না পারায় আশপাশের বাড়িতে বসে নিজেদের কাজ সেরেছেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, অবহেলিত চর এলাকার শিশুদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ যাবত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এভাবে নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকছে। এছাড়া বিদ্যালয়টির নিজস্ব পাকা ভবন ও শৌচাগার না থাকাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকবর কবির বলেন, দক্ষিণ ভূতের দিয়া এলাকাটি খুবই নিচু, পানিতে ডুবে থাকে। খবর পেয়ে আমি সেখানে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে পরিদর্শনের জন্য পাঠিয়েছি। রোববার প্রথম দিনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উঁচু এক স্থানে ক্লাস নিয়েছে। তবে, বিদ্যালয় ভবনটি খুবই জরাজীর্ণ হওয়ায় মন্ত্রণালয়ে ভবন পুন:নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তাছাড়া ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, পরিবেশ প্রতিকূল হলে তারা আপতত বিদ্যালয় বন্ধ রাখবেন।

উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নতুন চর এলাকায় সন্ধ্যা নদীর কোল ঘেঁষে ৭৪ শতাংশ জমির ওপর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। ২০১৩ সালের ১ জুলাই ২য় ধাপে জাতীয় করনের পর বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া হয়  দক্ষিণ ভূতেরদিয়া নবআদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু জাতীয় করণের ৮ বছর পার হলেও পাকা কোনো একাডেমিক ভবন নেই শতাধিক শিক্ষার্থীর এ বিদ্যালয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
এমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।