ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভর্তি পরীক্ষার বদলে লটারিতে গুরুত্ব শিক্ষামন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
ভর্তি পরীক্ষার বদলে লটারিতে গুরুত্ব শিক্ষামন্ত্রীর

ঢাকা: বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষার্থী ভর্তিতে লটারির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ডিজিটাল লটারির উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি ব্যবস্থা সর্বোপরি একটি বড় পরিবর্তন আনবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমতা আনার জন্য, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের প্রতিযোগিতা থেকে বিরত রাখার জন্যে, ভর্তি কেন্দ্রিক কোচিং বাণিজ্য এবং ভর্তির জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত যে অনেক তদবির হয়, সেগুলো দূর করার জন্যই এই ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ৪০৫টি সরকারি বিদ্যালয়ে ৮০ হাজার ৯১টি শূন্য আসনের বিপরীতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬টি। লটারি উদ্বোধনের পর মাত্র আট মিনিট সাত সেকেন্ড সময়ের মধ্যে পুরো লটারির কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ৭৫ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।  

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লটারি হবে ১৯ তারিখে। ২ হাজার ৯০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬টি। এর বাইরে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, তারা নিজেরাই তাদের লটারি করবেন। কিন্তু সেখানে আমাদের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে। সেগুলো মূলত উপজেলা পর্যায়ে। তবে কোনো অবস্থাতেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।

ডা. দীপু মনি বলেন, বাবা-মায়ের একটা ফোকাস থাকে যে, আমার শিক্ষার্থী কত নম্বর পেল, কী ফলাফল হলো, সেটার ওপরেই অনেক বেশি নজর। কি শিখলো তার চাইতে, সেটাকেও আমরা কিছুটা এর মধ্যে দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছি। নামীদামি স্কুলে ভর্তি করার, ভর্তি হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতাও আমরা দেখেছি। ভর্তি করাতে গিয়ে অনেকে একদম অনৈতিক কাজ বেছে নিতেও পিছপা হন না। সেগুলো ভেবে এবং একই ক্লাসে যখন বিভিন্ন ধরনের মেধার সমন্বয় ঘটে তখন শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানেও ভালো হয়। সেদিক থেকেই আমরা এগুলো নিয়ে চিন্তা করছিলাম। এরপর কোভিড-১৯-এর সময় থেকে সেটি আমরা কাজে লাগিয়েছি।

তিনি বলেন, এর মাধ্যমে হয়তো কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী যারা মেধার মূল্যায়নে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারতেন, তাদের অভিভাবক বা তেমন অভিভাবক যারা প্রভাব দিয়ে সন্তানকে ভর্তি করাতে পারতেন, তাদের সন্তানেরা লটারির মাধ্যমে ভর্তি না হতে পারলে হয়তো মনক্ষুণ্ন হবেন। তবে আমরা সকলের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, এই প্রক্রিয়ার বেশিরভাগ মানুষই সন্তুষ্ট। শিক্ষার্থীদের প্রতি একটা প্রচণ্ড মানসিক চাপ থাকত বাবা-মায়ের পছন্দের বিদ্যালয়ে বা তার বন্ধুরা যেখানে ভর্তি হচ্ছে সেখানে ভর্তি হতে না পারলে একটা প্রচন্ড মানসিক চাপ থাকত, এখন আর সেটি নেই।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন, সহকারী ম্যানেজার জাহেদুর রহমান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনফরমেশন টেকনোলজির প্রজেক্ট অ্যাসোসিয়েট সাদ মোহাম্মদ সাদী, অতিরিক্ত শিক্ষা সচিব ফৌজিয়া জাফরিনসহ সরকারের পদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
এইচএমএস/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।