ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফেনী ইউনিভার্সিটিতে বিজয় দিবস উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
ফেনী ইউনিভার্সিটিতে বিজয় দিবস উদযাপন

ফেনী: যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপন করেছে ফেনী ইউনিভার্সিটি। বিজয়ের এদিনে প্রতিষ্ঠানটি ফেনী শহরের বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সকাল ৮টায় বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা ও ইউনিভার্সিটির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন শুরু করে ফেনী ইউনিভার্সিটি। জাতীয় পতাকা ও ইউনিভার্সিটির পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ ও ট্রেজারার অধ্যাপক তায়বুল হক।  

এ সময় ইউনিভার্সিটির সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলনের পর বিজয় র‌্যালি করে ট্রাংকরোডস্থ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। এরপর ক্যাম্পাসে ফিরে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন সবাই।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. এ এস এম তবারক উল্লাহ চৌধুরী বায়েজিদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার অধ্যাপক তায়বুল হক।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- রেজিস্ট্রার এ এস এম আবুল খায়ের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মাদ হারুন আল রশিদ, সিনিয়র সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান টিপু, ব্যবসায় অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও প্রক্টর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

আলোচনায় বক্তারা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার গুরুত্ব বার বার তুলে ধরেন। ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. এ এস এম তবারক উল্লাহ চৌধুরী বায়েজিদ বলেন, ‘তোমার যেটা পাওয়ার ছিল, পেয়েছো কী বাংলাদেশ? আজ ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায় আমারা কিছু বলতে পারি না, মুক্তিযুদ্ধের অনেক প্রকৃত নয়কের নাম নিতে পারি না, এমন স্বাধীনতা আমরা চাইনি। ’

ট্রেজারার অধ্যাপক তায়বুল হক প্রকৃত স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি নিজে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। স্বাধীনতার জন্য আমরা বড় বেশি মূল্য দিয়েছি। তবে বাংলা এখনো পরিপূর্ণভাবে স্বাধীন হয়নি। যেদিন দুই বাংলা আবার এক হবে, সেদিনই আমরা প্রকৃত স্বাধীন হব। আর আমি বিশ্বাস করি এটা একদিন ঘটবে। ’

সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুদ্দিন শাহ মুক্তিযুদ্ধের সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমি একজন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছি। সে অপরাধে রাজাকাররা আমাকে পাকস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তবে ঘটনচক্রে আমি মুক্তি পাই, তাই স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা যদি হারিয়ে ফেলে, তাহলে এ স্বাধীনতা অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। ’

এরপর সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি আলোচনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
এসএইচডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।