খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের নির্বাচন আগামী বুধবার (২২ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৭টি পদে এবার লড়ছেন ৪০ জন প্রার্থী।
বরাবরের মতো এবারও ব্যতিক্রমী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন খুবি অফিসার কল্যাণ পরিষদের নির্বাচনের প্রার্থীরা। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা নিজের ছবির পোস্টার, প্যানা না ছাপিয়ে কেবল মাত্র মৌখিকভাবে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো নির্বাচনে রাজনীতির প্রভাব থাকে। প্রার্থীরা যেমন ক্যাম্পাসে পথসভা, সমাবেশ করে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে বিষোদাগার করে তেমন কোনো প্রচারণা নেই খুবি ক্যাম্পাসে। এমনকি অফিস সময় কাজ বাদ দিয়ে ভোট প্রার্থনার জন্য যান না কেউ কারও কাছে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ভোটারদের কাছে প্রার্থীরা ভোট প্রর্থনা করছেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চালাচ্ছেন জমজমাট প্রচার-প্রচারণা। সুনাম, মর্যাদা ও কল্যাণের জন্য প্রার্থীরা অফিসারদের কাছে ভোট ও সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন উপ-রেজিস্টার মো. আলী আকবর। মোট ভোটার ২৯৯ জন।
চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে উপ-রেজিস্ট্রার জি এম লুৎফর রহমান, উপ-রেজিস্ট্রার মো. তারিকুজ্জামান (লিপন) ও উপ-প্রধান প্রকৌশলী (তড়িৎ) এস এম মনিরুজ্জামান (পলাশ)। সহ-সভাপতির দুটি পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রফিকুল ইসলাম (বাবু), মো. আব্দুল্লাহ আলা মামুন, তানভীর হোসেন বাবু, উপ-পরিচালক মো. জাবেদ এলাহী, সহকারী রেজিস্ট্রার এস এম মোহাম্মদ আলী। সাধারণ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মাসুদুর রহমান মিয়া, উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মণ্ডল ও সহকারী রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মিয়া মুহাম্মাদ সালাউদ্দিন (সুকর্ণ), সহকারী পরিচালক সুশান্ত কুমার বসু ও সেকশন অফিসার শেখ আকতার হোসেন। অর্থ সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (রফিক) ও সহকারী রেজিস্ট্রার এস আতিকুর রহমান। দপ্তর সম্পাদক পদে সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মেহেদী হাসান ও শেখ আফসার উদ্দীন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ছুনুরাম রায় (সাগর) ও সহকারী পরিচালক মোঃ নুরুজ্জামান (মিথুন)।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. শহিদুল ইসলাম (শহিদ), সহকারী পরিচালক সাহারা বানু ও সহকারী রেজিস্ট্রার এইচ এম ইকবাল হোসেন। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে সেকশন অফিসার সুশান্ত অধিকারী, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহাদেব মণ্ডল ও সেকশন অফিসার সরদার ইসরাফিল হোসেন।
এছাড়া নির্বাহী সদস্যের সাতটি পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন- যথাক্রমে সহকারী রেজিস্ট্রার সাইদা আক্তার রিনি, সেকশন অফিসার খান মঞ্জুর মোমেন রানা, সেকশন অফিসার মোছাম্মত তাহেরা মনোয়ার, সহকারী রেজিস্ট্রার শেখ মো. সোহরাব হোসেন, সেকশন অফিসার হিমাদ্রী শেখর মণ্ডল, চিফ কম্পাউন্ডার গণেশ চন্দ্র পাল, সহকারী রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর হোসেন, উপ-পরিচালক আবু সালেহ মো. পারভেজ, সহকারী রেজিস্ট্রার লাভলী খাতুন, উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মাদ গোলজার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার সৈয়দ মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক এস এম আব্দুল্লাহ শাহানুর কবির (অয়ন), সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান খান (মুকুল) ও সেকশন অফিসার লায়লা রুমঝুম।
নির্বাহী সদস্য প্রার্থী সহকারী রেজিস্ট্রার সাইদা আক্তার রিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে রয়েছে কোনো লিফলেট বা ব্যানার করা যাবে না। দাপ্তরিক কাজ বন্ধ করে ভোটের কাজ করা যাবে না। দাপ্তরিক কাজ কাজ ঠিক রেখে ভোটের কাজ করতে হবে। সে নিয়ম মেনেই সবাই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
অর্থ সম্পাদক প্রার্থী সহকারী রেজিস্ট্রার এস আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অফিসারদের সার্বিক সহযোগিতায় পাশে থেকে কাজ করার সুযোগ চাই। আমাদের নির্বাচনের প্রচারণা চলছে আচরণবিধি মেনে। অফিস চলাকালীন কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোট চাইতে কোনো প্রার্থী ভোটারের বাসায় যান না। সুন্দর পরিবেশেই নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এমআরএম/আরবি