ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: সিলেটে ৪৫০ পদে ১৬৪৪২ প্রার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১২

সিলেট: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সিলেট জেলায় ৪৫০টি পদের বিপরীতে ১৬ হাজার ৪৪২ প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

ইতিমধ্যে পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রবেশপত্র।

সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হযরত আলী জানিয়েছেন, কেউ প্রবেশপত্র না পেয়ে থাকলে বৃহস্পতিবারের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে দুই কপি সত্যায়িত ছবিসহ যোগাযোগ করে ডুপ্লিকেট প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৯ আগস্ট।

সিলেট জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সাড়ে ৪শ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর বিপরীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে বৈধ প্রার্থী বাছাই করা হয়। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা না থাকায় এবং আবেদনপত্রে ভুল থাকায় প্রায় ২ হাজার আবেদনপত্র বাতিল করা হয়।

আবেদনকারীদের মধ্যে ১৬ হাজার ৪৪২ জন বৈধ প্রার্থীর ঠিকানায় ডাকযোগে প্রবেশপত্র প্রেরণ করা হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিলেট জেলার ১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কেন্দ্রগুলো হলো সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়, রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়, ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পি ডি বি উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, মদন মোহন কলেজ, মঈনুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আম্বরখানা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কিশোরী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়, দি এইডেড হাইস্কুল, মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এম সি কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজ।

সিলেটের জেলা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক হল সুপারের দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও প্রায় সাড়ে ৬শ পর্যবেক্ষক, ১শ অফিস সহকারী ও প্রায় দেড়শ জন পিয়ন কেন্দ্রগুলোর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।