ফেনী: মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেলেও পড়তে পারা নিয়ে রয়েছে শঙ্কায় রয়েছেন দরিদ্র পান বিক্রেতার মেয়ে সুমি রায়। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের পূর্ব হীরাপুর গ্রামের পরিমল রায় ও শিখা রানী রায়ের একমাত্র মেয়ে।
ফল প্রকাশের পর থেকেই আশপাশের লোকজন সুমিকে দেখতে আসছেন, দোয়া করছেন। জানা গেছে সুমির বাবা সিলোনীয়া বাজারে টুকরিতে পান বিক্রি করে সংসার চালান, মা গৃহিণী। বাবার একার আয়ে কোনমতে চলে সংসার। প্রাইভেট বা কোচিংয়ে পড়ার সুযোগ পেলে আরও ভালো করতে পারতেন বলে আক্ষেপ আছে সুমির। তবে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন। এজন্য সুমি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়ে তার বড় ভাই শৈশবেই মারা যায়। অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করানো যায়নি। এ ঘটনা সুমিকে বেদনা ভারাক্রান্ত করে। এ জন্য বড় হয়ে সেবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যেন মানুষের সেবায় আত্ম নিয়োগ করতে পারেন এজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এদিকে সুমির মেডিক্যালে সুযোগ পেলেও তাতে পরিবারে মিষ্টির আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। মা-বাবার চোখে মুখে আনন্দ দেখা গেলেও ভিতরে আছে গভীর দুশ্চিন্তা। মেডিক্যালে ভর্তির খরচ জোগাতেই গলদগম অবস্থা হবে বাবা পরিমলের। সুমির বড় চাচা নন্দলাল রায় বলেন, মেডিক্যালে পড়ার খরচের কথা চিন্তা করলেই বেদনায় মুখ মলিন হয়ে আসে। এজন্য তিনি এলাকার বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ৮ এপ্রিল, ২০২২
এসএইচডি/এমএমজেড