ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

টিকা নিতে গিয়ে মারধর, জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

জাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
টিকা নিতে গিয়ে মারধর, জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): ঢাকার সাভারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে গিয়ে মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী।  

এ ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের শতাধিক আবাসিক ছাত্র।



রোববার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া সাতটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী সড়কটি অবরোধ করা হয়। এ সময় মহাসড়কের দুই কিলোমিটারের বেশি এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরে রাত আটটার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে যান। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, রোববার দুপুর একটার দিকে সাভারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে টিকা নিতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থী। তারা হলেন দর্শন বিভাগের মো. ইমন এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের মো. মাজেদ। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় দুপুর একটা বেজে যাওয়ায় টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। টিকাপ্রত্যাশীদের অনেকেই লাইনে দাঁড়ানো থাকায় তারা লাইন শেষ হওয়া পর্যন্ত টিকা দেওয়ার অনুরোধ জানান। টিকাদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীরা এতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, একপর্যায়ে চারজন স্বাস্থ্যকর্মী মিলে ইমন ও মাজেদকে মারধর শুরু করেন। পরে তাদের সাভার মডেল থানায় নিয়ে যায় স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিষয়টি সেখানে মীমাংসা হয়নি। ইমন ও মাজেদ অসুস্থ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।

ইমন ও মাজেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ৪৪তম ব্যাচের ছাত্র।  

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, ওই দুই শিক্ষার্থী জোর করে টিকা নিতে গেলে বাগ-বিতণ্ডা হয়। পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের থানায় নিয়ে যায়। আমি বিষয়টি নিয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনেছি। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।