কুমিল্লা: শোকাবহ আগস্ট স্মরণে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল রচনা প্রতিযোগিতা। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজের ৪৯৭ জন শিক্ষার্থী।
আয়েজকরা পুরস্কার হিসেবে টঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থল পরিদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছেন বিজয়ীদের। শিরোনাম দেওয়া হয় ‘শোকের মাসে পিতার পাশে- টুঙ্গিপাড়ায় একদিন’।
অবশেষে ব্যতিক্রমী আয়োজনে ওই ৩০ শিক্ষার্থী যান বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে। পদ্মা সেতুহয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যেতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও।
ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি করেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন 'পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব নাঙ্গলকোট (পিউসান)'। নানামুখী সামাজিক কাজের মাধ্যমে এরই মধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে সংগঠনটি।
জানা গেছে, সোমবার (২৯ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস নাঙ্গলকোট সদরের লোটাস চত্বর থেকে যাত্রা শুরু করে। ওইদিন দুপুর ২টায় গোপালগঞ্জের টঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তারা। সেখানে তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং কবর জিয়ারত করেন। পরে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর বাসভবন, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও হিজলতলাসহ চারপাশের আঙিনা ঘুরে দেখেন।
বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন শেষে উন্মুক্ত মঞ্চে আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা পাঠের আসর।
সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, শোকের মাস আগস্ট স্মরণে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। রচনা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে জেনেছে, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে পড়েছে। এবার পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত টঙ্গিপাড়া পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রকৃত ইতিহাস কাছ থেকে জানাতেই আমাদের এ উদ্যোগ। বিজয়ীদের এ শিক্ষাসফরের পাশাপাশি জাতির জনকের জীবনীগ্রন্থ উপহার দেওয়া হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, বঙ্গবন্ধুদের আদর্শ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিয়ে আগামীতে তারাও দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাজেদুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের স্বার্থে এক আপসহীন ব্যক্তিত্ব। তার বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে আরও কাছ থেকে জেনে নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে আমাদের এ আয়োজন নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করি।
রচনা প্রতিযোগিতা ও শিক্ষা সফরের অনুভূতি জানতে চাইলে বাঙ্গডা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া মিতু বলেন, রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে আমি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এ শিক্ষাসফরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানান স্মৃতি ও নিদর্শন দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
মন্তলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাওয়ার পর আমি দেশ ও সমাজের জন্য নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখার উদ্দীপনা পেয়েছি। এমন আয়োজনের জন্য আমি পিউসান পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
যাওয়ার সময় স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখেও ভালো লেগেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২
এসআই