ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিসংখ্যার ব্যুরো প্রকাশিত আদম শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবদেনের অপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন না পেলে আগের তথ্য অনুযায়ীই সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। কেননা, রোডম্যাপ অনুযায়ী এটি আগামী মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
জানা গেছে, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য এবার অ্যাপ তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এতে আসন ভিত্তিক সকল তথ্য থাকবে। অ্যাপটি তৈরির বিষয়ে দর কষাকষি চলছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, জনসংখ্যাকে প্রধান্য দিতে গেলে ঢাকাতেই আসন সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া প্রশাসনিকভাবেও অনেক অসুবিধার সৃষ্টি হবে। কেননা, এক উপজেলার নাগরিক ভোট দেন অন্য উপজেলার সংসদ সদস্যকে। ফলে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখণ্ডতার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা আমাদের কাজ গুছিয়ে রাখছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের কাছে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়েছে। আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখেছি। এগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বিবেচনায় নেওয়া হবে।
চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আগামী মে মাসের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শেষ করতে চায় ইসি।
মো. আলমগীর বলেন, রোডম্যাপে আমরা মে মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ঘোষণা দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ হয়েছে। এক্ষেত্রে আদশ শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন না পেলেও আমরা সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ফেলবো।
সর্বশেষ ২৫টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। সীমানায় পরিবর্তন আনা আসনগুলো হলো—নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-৩ ও ৪, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, খুলনা-৩ ও ৪, জামালপুর-৪ ও ৫, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫, সিলেট-২ ও ৩, মৌলভীবাজার-২ ও ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ও ৬, কুমিল্লা-৬, ৯ ও ১০ এবং নোয়াখালী-৪ ও ৫।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ