ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন নিয়ে সংক্ষুদ্ধ প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপিল করার শেষ সময় আগামী ৪ জুলাই।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে গাজীপুরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারককে নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল।
আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিয়োগ দায়ের করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল সে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। সেখানে সুবিচার না পেয়ে থাকলে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে। আপিল ট্রাইব্যুনাল সে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে।
গাসিক নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে সোমবার (৫ জুন)। এক্ষেত্রে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিকে আপিল করতে হবে।
গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত এ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা জাহাঙ্গীর আলমের মা) ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।
অন্যদের মধ্যে আতিকুল ইসলাম (মাছ মার্কা) পেয়েছেন ১৬,৯৭৪ ভোট; এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল) ১৬,৩৬২; গাজী আতাউর রহমান (হাতপাখা) ৪৫,৩৫২; মো. রাজু আহমেদ (গোলাপ ফুল) ৭,২০৬; মো. হারুন-অর-রশিদ (ঘোড়া) ২,৪২৬ এবং সরকার শাহনূর ইসলাম (হাতি) পেয়েছেন ২৩,২৬৫ ভোট।
এছাড়া নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ট্রাইব্যুনালে সব প্রার্থীই ভোট নিয়ে যে কোনো অভিযোগ দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
ইইউডি/এমএমজেড