ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাসিক নির্বাচন: ৭টি বাদে সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, বাড়তি নিরাপত্তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
রাসিক নির্বাচন: ৭টি বাদে সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, বাড়তি নিরাপত্তা

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে বুধবার (২১ জুন) ভোটগ্রহণ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এই সিটিতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)।  

মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৫টি। আর ভোটগ্রহণ কক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ১৫৩টি। তবে সাতটি ভোটকেন্দ্র বাদে বাকি ১৪৮টিই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এই ভোটকেন্দ্রগুলোতে থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরাও থাকবে।

রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ নয়, নির্বাচন কমিশন অবশ্য রাজশাহীর এসব কেন্দ্রগুলোকে বলছে গুরুত্বপূর্ণ।

রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৫৫ কেন্দ্রেই সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ১৪৮ কেন্দ্রের সবগুলোতেই সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।  

এসব সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা থেকে নির্বাচন কমিশন ভোট পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করবে। কোথাও কোনো অনিয়ম বা অব্যবস্থাপনা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি বা সহিংসতার চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।

রাজশাহী মহানগরের ৩০টি ওয়ার্ডে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে পুলিশ ও ডিবি, আনসারের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে, বিজিবি, র‌্যাব ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

সিটি নির্বাচনে প্রথম ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রশ্নে রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ইভিএম নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। তবে কোনো সমস্যা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার সমাধান করা হবে। আর ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার জন্য এরইমধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হয়েছে। সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। যদিও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এরইমধ্যে নির্বাচন বয়কট করেছেন। তবে কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ইভিএমের তালিকায় প্রতীকসহ তার নাম থাকবে।

এ ছাড়া রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে বর্তমানে ১৫৭ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১১১জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া মহানগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে রবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত আসনের ১০টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে মোট ৪৬ জন নারী প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সদস্য সুলতানা আহমেদ সাগরিকাও রয়েছেন।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ছয়জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩১ হাজার ২২৩ জন। তারা এবার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৩
এসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।