ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি দেওয়ানি আদালতের ন্যায় কার্যক্রম চালাবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি দেওয়ানি আদালতের ন্যায় কার্যক্রম চালাবে

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন অপরাধ স্বীয় উদ্যোগে অনুসন্ধান করা ছাড়াও কোনো অভিযোগ পেলে তা দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে শুনানি করবেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) ৩০০ আসনের জন্য ৩০০ বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দিয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।

 

ইসির আইন শাখার উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সংশ্লিষ্ট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জন এবং সহকারী জজদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ (এ) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার জন্য ০১ (এক) জন যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের সমন্বয়ে সারাদেশে ৩০০ (তিনশত) টি নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি (Electoral Enquiry Committee) গঠন করেছেন।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত অনুসন্ধান করে তৎসংক্রান্তে কমিশনের করণীয় বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব বা সুপারিশসহ অনুসন্ধানের তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাবেন।

আরপিও-এর ৭৩ থেকে ৮৬ অনুচ্ছেদ, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর লঙ্ঘনজনিত বিষয় বা ঘটনাসমূহ এবং কোনো ব্যক্তির কোনো কার্য বা বিচ্যুতির ফলে ভীতি, বাধা, দমন বা মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন ঘটনাসমূহ অনুসন্ধান করবে কমিটি।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি প্রাপ্ত তথ্য বা তার কাছে দাখিল অভিযোগের ভিত্তিতে বা নিজ উদ্যোগে বর্ণিত ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত বিষয় বা ঘটনাসমূহ অনুসন্ধান করতে পারবেন। এমনকি ওই ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত অভিযোগ ও ঘটনা নির্বাচন কমিশন/রিটার্নিং অফিসার/সহকারী রিটার্নিং অফিসার/নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক কমিটির কাছে পাঠানো  হলে কমিটি তা অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন কমিশনের কাছে পাঠাবেন।  

এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে সামনে হাজির হতে ও শপথপূর্বক সাক্ষ্য প্রদানে এবং কমিটির কাছে প্রয়োজনীয় দলিল বা বস্তু দাখিল করতে কোড অব সিভিল প্রসাডিউর-১৯০৮-এর অধীন দেওয়ানি আদালতের ন্যায় একই ক্ষমতাবান হবেন। এতে প্যানাল কোড-১৮৬০-এর ১৯৩ ও ২২৮ ধারায় বর্ণিত বিচারিক কার্যক্রম হিসেবে গণ্য হবে।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে পাঠাবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন ইসি সচিবকে পাঠাবেন। কমিশন পরবর্তীতে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রার্থীকে অপরাধ তাৎক্ষণিক বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেবে। আর সেটা পালন না হলেই জরিমানা দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দলের জরিমানা গুণতে হবে ১ লাখ টাকা। আর কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
ইইউডি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।