ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে পঁচা নির্বাচনের জন্য। এর একটাই কারণ—নির্বাচনের নামে প্রহসন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, জুলাই হয়েছে পঁচা নির্বাচনের জন্য। এর একটাই কারণ নির্বাচনের নামে প্রহসন। আমরা পক্ষপাতমূলক, দুষ্টু নির্বাচনের নির্দেশনা দেবো না। আপনারাও (কর্মকর্তা) করবেন না। করলে দায় আপনাদের নিতে হবে। আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকা প্রণয়নে সচেতনতা কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরেও নারী ভোটার পুরুষের তুলনায় কম। নারীরা বিয়ের আগে হতে চান না, ধর্মীয় কারণে ভোটার হতে চান না, নানা কারণে হতে চান না। এগুলো নিয়ে সামনে আমাদের আরও সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, মৃত ভোটার কর্তনের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেবল কাজ করলে হবে না। স্থানীয় সরকারসহ সরকারের অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যারা বাদ পড়েছে, তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
বিদেশি নাগরিক আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, র্যান্ডম স্যাম্পলিং করছি। মাঠ কর্মকর্তাদেরও করতে হবে। রংপুর, নীলফামারী এসব এলাকায় বিদেশি নাগরিক পাওয়া যাচ্ছে।
আবুল ফজল বলেন, এনআইডি নিয়ে মানুষের মাঝে অস্বচ্ছ ধারণা আছে। অনেকেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য নতুন এনআইডি করতে চান। তাই এসব নিয়ে কাজ করতে হবে।
মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে এনআইডি সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে। এই ভোগান্তির কারণে দালালরা সুযোগ নিচ্ছে। এনআইডি সংক্রান্ত ভোগান্তি, সুপরিকল্পিত ভোগান্তি সৃষ্টি করলে তিনি যেই হোন না কেন মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, প্রবাস ভ্রমণের জন্য শুধুমাত্র প্রবাসে ভোটার কার্যক্রম চালাতে যাওয়ার দরকার নেই। তাই কর্মকর্তার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি। ভোটে খরচ তিন হাজার কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে হবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, যেখানে ব্যয় করতে হবে, সেখানে করবো না।
এ সময় তিনি নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) থেকে যেন অনার্স, মাস্টার্স, রিসার্চ প্রোগ্রাম হয়, সেটা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত কর্মকর্তাদের সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইইউডি/এসআইএস