ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

একটিও জাল ভোট ধরা পড়লে চাকরি থাকবে না: ইসি আহসান হাবিব

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
একটিও জাল ভোট ধরা পড়লে চাকরি থাকবে না: ইসি আহসান হাবিব

পটুয়াখালী: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোথাও জাল ভোটের প্রমাণ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রিসাইডিং, পোলিং, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে সাসপেন্ড করা হবে। এছাড়া চাকরিচ্যুত করার জন্য যা যা করা দরকার, তাই করা হবে।

তবে এখন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা সবাই পরীক্ষিত, তাদের দ্বারা কোনো অনিয়ম হবে না। এখন প্রার্থীদের ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাকে তারা আশ্বস্ত করছেন, তারাও সহযোগিতা করবেন।


তিনি বলেন, এখন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা আছে অ্যাসিস্ট্যান্ট পোলিং অফিসার দেখবেন চেহারা, ছবি মেলাবেন, তারপর ভোটাররা ভোট দেবেন, একটি ব্যক্তি যেন না বলেন যে আমার ভোট তো দেওয়া হয়ে গেছে। এমন একটি কেসও যদি পাওয়া যায়, তাহলে সেই অফিসারদের কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হবে এবং পরে চাকরিচ্যুত করা হবে। এর জন্য আমাদের যা যা করা দরকার, সবই করা হবে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পটুয়াখালীর চারটি আসনের প্রার্থীরা ও নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সদস্যরাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসি আহসান এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কোনো টলারেন্স নেই, জিরো টলারেন্স, সততা, স্বচ্ছতা এবং সুন্দর ভোটের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এর জন্য কিন্তু সবার সহযোগিতা দরকার।

সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতা দরকার, আপনারা কেন্দ্রের সামনে ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। আর আপনারা কেন্দ্র ভাগ করে নেবেন, ভোট দিয়ে আসার পর ভোটারদের জিজ্ঞেস করবেন, ‘মা কেমন ভোট হলো’, মা বলবেন, ‘বাবা এত সুন্দর ভোট কখনো দেখি নাই। ’ এটা যদি বলে তাহলে ১০০ তে ১০০ প্রচার করেন। আবার যদি তিনি বলেন, ‘বাবা আমার ভোট কে যেন দিয়ে গেছে, আর ভেতরে কে যেন সিল মারছে শুধু,’ তখন আপনারা প্রচার করেন। যেই হোক, যার পক্ষে বা বিপক্ষে হোক, সেটা প্রচার করেন, যদি সৎসাহস থাকে। আপনাদের এ সহযোগিতা দরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইয়োলো জার্নালিজম না। এ পর্যন্ত আপনারা সহায়তা করে এসেছেন। দেখেন বড় পত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজন চাকরিচ্যুত হতে যাচ্ছেন। আপনাদের মিডিয়ার খবর আমাদের পর্যন্ত আসতে হবে। সবার সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ পৃথিবীর কাছে, বাংলাদেশের ভোটারদের কাছে, আমাদের বিবেকের কাছে, যেন প্রমাণ করতে পারি, অতীতে এমন নির্বাচন হয় নাই। এ নির্বাচন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে ও আগামী নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে অনুকরণীয় অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।


এসময় পটুয়াখালী জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খান আনি শাহানুর খান ও পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।