ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকা-৮

এগিয়ে নাছিম; প্রচারণায় পিছিয়ে বাকি সবাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪
এগিয়ে নাছিম; প্রচারণায় পিছিয়ে বাকি সবাই

ঢাকা: মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৮ আসন থেকে লড়ছেন।

এ আসনে আরও অনেক প্রার্থী আছেন। কিন্তু ভোটাররা তাদের সবাইকে চেনে না। মাঠেও উপস্থিতি নেই তাদের। অল্প বিস্তর পোস্টার থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে তা পুরো সাগরে বালির মতো।

রাজধানীর কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, তোপখানা রোড এলাকা; মগবাজারের আউটার সার্কুলার রোডের একপাশ, রমনা, শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮। এই আসন থেকে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এবার ১৪ দলীয় জোট থেকে আসনটিতে ছাড় পাননি তিনি। মেনন মনোনয়ন নিয়েছেন বরিশাল-২ আসন থেকে। ফলে প্রথমবারের মতো ঢাকার কোনো আসন থেকে নৌকার মাঝি হওয়ার সুযোগ পান নাছিম।

ঢাকা-৮ আসনের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আবুল কালাম জুয়েল (আম); বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের এস এম সরওয়ার (মোমবাতি); সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. রাসেল কবির (ছড়ি), একতারা প্রতীকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির খন্দকার এনামুল নাছির, জাতীয় পার্টির মো. জুবের আলম খান (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির এম এম ইউসুফ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (ফুলের মালা) ও টেলিভিশন প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. সাইফুল ইসলাম।

সরেজমিনে আসনটির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিভিন্ন অলি-গলিতে নৌকা, লাঙ্গল, মোমবাতি, টেলিভিশসহ বিভিন্ন প্রতীকের প্রার্থীদের কম-বেশি পোস্টার লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে বাহাউদ্দিন নাছিমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বেশি। তার লোকজন এলাকায় মিছিল-মিটিং, গণসংযোগও করছে নিয়মিত।

মিনার, মোমবাতি, ছড়ি, সোনালী আঁশের পোস্টার দেখা গেলেও প্রার্থীদের অনেকে গণসংযোগ করছেন না। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের লড়াইয়ে নামা ফুলের মালা, টেলিভিশন প্রতীকের পোস্টারও দেখা যায়নি এই এলাকায়।

নির্বাচনী প্রচার চালাতে প্রার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নির্বাচনী ক্যাম্প বা প্রচার কেন্দ্র। ঢাকা-৮ আসনে নৌকার ক্যাম্প ছাড়া আর কারও ক্যাম্প চোখে পড়েনি। নৌকার যে ক্যাম্পটি আছে, সেটি শুধুমাত্র বিজয়নগর এলাকাতে। এখানে নৌকা প্রার্থীর একটি নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ও আছে।

নাছিমের বিরুদ্ধে কার্যত শক্ত কোনো প্রতিপক্ষ নেই। যে কারণে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে সশরীরে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। যে কারণে নাছিম এ আসনে নির্ভার; কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই তিনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার লোকেদের দাবি, সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নাছিম নির্বাচিত হবেন।

তোপখানা রোডের চায়ের দোকানদার থেকে শুরু করে স্থানীয় মুদি দোকানি, বাসিন্দারা বলেন- নৌকা ছাড়াও একাধিক প্রার্থীর পোস্টার দেখছি আমরা। তবে তাদের প্রচারণা নেই। যে কারণে তাদের আমরা চিনি না। তারা খুব একটা সক্রিয়ও না। মাইকে নৌকার প্রচার হতে শোনা যায়। বাকিরা করেন না।

সেগুনবাগিচার ভোটাররা বলছেন, প্রচারণার কি আছে? সবাই তো নৌকা। অন্যান্য যারা আছেন, নামে মাত্র নির্বাচন করবেন। তাদের আমরা চিনি না, তারা এলাকাতেও আসেন না। নৌকার প্রচারণা হচ্ছে।

প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয়তা না থাকার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা-৮ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এমএম ইউসুফ বলেন, সব জায়গায় পোস্টারিং করা হয়েছে। চেষ্টা করেছি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার, তাদের সমস্যা জানার। আশা করি, প্রচার যেমনই হোক মানুষ পরিবর্তনের জন্য ভোট দেবেন।

আর আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার আসনে আরও ৯ প্রার্থী আছেন। প্রচার-প্রচারণা করছেন না তারা; কিন্তু তাই বলে তাদের খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়েই আমি ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। নৌকার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
এইচএমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।