ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাষ্ট্রপতির কাছে সেনা চাইবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
রাষ্ট্রপতির কাছে সেনা চাইবে ইসি নির্বাচন ভবন

ঢাকা: একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সশস্ত্র বাহিনী চাইবে নির্বাচন কমিশন। যে দাবিটি আগামী ১ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে তুলে ধরা হবে।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গভবনে যাবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কমিশন। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পূর্বেই এমন সাক্ষাৎ করে থাকে ইসি।

সাক্ষাতে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবে ইসি। একইসঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবেলা করার জন্য দাবি তুলে ধরা হবে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হওয়ার আশঙ্কা করলেও প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ভাবনায় নিয়েই এগুচ্ছে কমিশন। আর এ ভাবনা থেকেই ১ নভেম্বরের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবিটি রাখবে সংস্থাটি।

বিষয়টি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সার্বিক প্রস্তুতি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবো। একইসঙ্গে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হলে আমাদের তা দেবেন একথাও বলব। কেননা, তিনিই সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।

তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি সেনা মোতায়েনের মতো হলে সশস্ত্র বাহিনী প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে আমরা কথা বলবো। এক্ষেত্রে কিভাবে সেনা নামানো যাবে তিনিই সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কিংবা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগটা করে নেবেন।

কেবল ২০০৮ সালের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা বাহিনীকে অন্তর্ভূক্ত করে মাঠে নামানো হয়েছিল। অন্য নির্বাচনগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে নামেনি। দেশের প্রচলিত আইনেই নিয়োজিত করা হয়েছিল।

রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকের এলাকার মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানোর আলাদা আইনই আছে। তাকে সে ক্ষমতা দেওয়া আছে। কাজেই দেশে সেনা নিয়োজিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন নেই।

এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাবে কেবিনেটের অনুমোদন নিয়ে সংসদে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন না অনেকে। কেননা, তফসিল ঘোষণার আগে চলমান অধিবেশনই শেষ। তাই সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহারসহ বেশকিছু বিষয় অনিশ্চয়তার মাঝে রয়েছে। তবে কমিশন আশাবাদী। সংস্থাটি মনে করছে অধিবেশন না বসলেও সরকার চাইলে অধ্যাদেশ জারি করেও সংশোধনী এনে দিতে পারে।

সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, সংসদ ছাড়াও সংশোধনের আরেকটি উপায় হচ্ছে অধ্যাদেশ। সরকার কী করবে তা তো আমরা জানি না।

সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষের পথে। তাই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই তফসিল দিতে চায়। এক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম দিকে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষের দিকে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনের সময় সরকারের কর্মচারীরা ইসির অধীনে থাকবে। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে কারো গাফিলতি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে এ বিষয়ে আরো বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।