বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ইভিএম ব্যবহার বিনিয়োগ প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিতে সরকারি অর্থ তহবিল (জিওবি) বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। ইভিএম কেনা প্রকল্পের আওতায় আরও বরাদ্দ প্রয়োজন। এ টাকা ছাড়াও বাড়তি ৩১৭ কোটি ৬৪ লাখ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে ইসি। ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাত থেকে বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চলতি এডিপিতে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে জিওবি বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা ছিলো। এরই মধেই কতিপয় প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিধায় ইভিএম খাতে ৩১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বাড়তি বরাদ্দের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরে এডিপিতে ১ হাজার ১২৪ কোটি বরাদ্দ রয়েছে। এ টাকাসহ ৩১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ইসির বাড়তি বরাদ্দ লাগবে। এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা অফিসিয়ালি বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ইভিএম প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সরকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিনমাস আগে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকা। ব্যয়ের পুরোটাই রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জোগান দেওয়া হবে।
তিন ধাপে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ইসি। দেড়লাখ ইভিএম কেনা হবে প্রকল্পের আওতায়। প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিন হাজার ১১০ জনকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এমআইএস/ওএইচ/