মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বুড়িগঙ্গার পাশেই ঝাউলাহাটি সড়কে গণসংযোগের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তাপস বলেন, উন্নত ঢাকা গড়তে ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনার আওতায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বুড়িগঙ্গা নদীর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
বুড়িগঙ্গার সংরক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী এবং নদীর পাড়কে সংরক্ষণের মহাপরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করবো। আমরা চাই বুড়িগঙ্গার পাড় দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা, বিনোদনমূলক নান্দনিক পার্ক, হাঁটার ব্যবস্থা, খেলার মাঠ, সাইকেল চালানো এবং ঘোড়ার গাড়ি চলার ব্যবস্থা করবো।
বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্জ্য ফেলা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্জ্য ফেলার প্রশ্নই ওঠে না। পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকেই আধুনিক করা হবে। আমাদের খুবই ব্যথিত করে, বাংলাদেশের চেয়ে অনেক গরিব দেশ তারাও তাদের বর্জ্য নদীতে বা মুক্ত সড়কের উপর ফেলে না। নাগরিক সেবা থেকে ঢাকাবাসী বঞ্চিত। আমি নির্বাচিত হলে প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক নাগরিক সুবিধাগুলো নিশ্চিত করবো। এরপর ২০৪১ সালকে লক্ষ্য রেখে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
বিরোধী প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট একটি অভিযোগ। আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করতে ব্যস্ত। তারা তাদের জাতীয় রাজনীতির কলাকৌশল এবং অভিযোগ করতেই ব্যস্ত রয়েছেন।
দিনব্যাপী ব্যারিস্টার তাপস পুরো কামরাঙ্গীর চর এলাকায় গণসংযোগ এবং নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন বলে জানা যায়।
তাপসের নির্বাচনী প্রচারণায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
আরকেআর/জেডএস