ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং অফিসে অভিযোগ জানাতে আসা স্বতন্ত্র চার প্রার্থী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কামরাঙ্গীরচর ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. হোসেনের নামে সিটি নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন, হুমকি, প্রচারণায় বাধা দেওয়া, প্রার্থীদের সমর্থকদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনেছেন চার স্বতন্ত্র প্রার্থী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে গোপিবাগ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং অফিসে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান তারা।

কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বিল্লাল হোসেন সরদার বাংলানিউজকে জানান, আওয়ামী লীগ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেনের সমর্থকরা তাকে ফোন হুমকি দিয়ে আসছে, যাতে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

তিনি আরও জানান, প্রচারণায় নামলে তার ওপর হামলার আশঙ্কা করছেন।

কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইদুর রহমান রতন বলেন, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্রতীক নিতে তিনি গোপিবাগ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং অফিসে আসেন। এখানেও তাকে মো. হোসেনের সমর্থকরা তাকে হুমকি দেন।

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে কুড়ার ঘাট এলাকায় তার সমর্থক দুলাল ও জলিলকে মারধর করে মো. হোসেনের সমর্থকরা। এছাড়া শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে বড় বাড়ি ইস্তেম জারির মোড়ে তার সমর্থক ওমর ফারুকের চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করা হয়।

৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের ১২ বিতর্কিত কাউন্সিলরদের একজন হচ্ছেন মো. হোসেন। আমরা বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও তিনি বিতর্কিত কাউন্সিলর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং অফিসে অভিযোগ করতে আসলে বলে থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। আবার থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রকার সহযোগিতা পাচ্ছি না।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি ও কামরাঙ্গীরচরের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা ফেরদৌসী বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে আমার সমর্থকদের হুমকি দেয় যেন আমার সাথে প্রচার প্রচারণায় মাঠে না নামে। ১২ জানুয়ারি বিকেলে আমার কর্মী আজিজকে তুলে নিয়ে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয় তার (মো. হোসেন) সমর্থকরা।

তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তার সমর্থকরা। আমি তখন '৯৯৯' এ ফোন দিয়ে পুলিশ ডেকে এনে দেখাই। পুলিশকে অভিযোগ করার পরও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আমার আট  মহিলা কর্মীর ব্যাগ থেকে লিফলেট ছিনিয়ে নেয় শাহ আলমগীর নামে তার এক কর্মী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এমএমআই/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।