শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে এক প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নেন আতিকুল ইসলাম। নামে প্রীতি ম্যাচ হলেও জার্সি গায়ে হাতে গ্লাভস, পায়ে প্যাড, মাথায় হেলমেট গলিয়ে পেশাদার ব্যাটসম্যানের মতোই ক্রিজে আসেন আতিক।
ইয়ুথ ক্লাবের উইক অ্যান্ড সাব কমিটি আয়োজিত এ ম্যাচে ১১তম বলে আউট হওয়ার আগে উচ্ছ্বসিত আতিক চার মারেন দু’টি।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আতিক বলেন, অনেকদিন পর গার্ড, প্যাড সবকিছু পরে ক্রিকেট খেললাম। খেলে মনে হলো যে- খেললে খেলা যাবে। চার তো মেরেছি, ছক্কাও মারা যাবে। খেলাধুলার ভিতরে একটা উদ্যম আছে। আমি ধন্যবাদ জানাই গুলশান ইয়ুথ ক্লাবকে সেই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশের অনেক নামকরা অধিনায়ক, জাতীয় দলের খেলোয়াড় এই ইয়ুথ ক্লাব থেকেই তৈরি হয়েছে।
নির্বাচিত হলে খেলাধুলার প্রতি জোর দেবেন এমন আশ্বাস দিয়ে আতিক বলেন, আজ যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করতে গেলে, সন্ত্রাসমুক্ত করতে গেলে, বিশেষ করে যুবসমাজ যে হতাশার মধ্যে চলে গিয়ে মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে, আমি জয়যুক্ত হয়ে আবারো দায়িত্ব নিলে খেলার মাঠগুলো পুনরুদ্ধার করবোই। এটির কোনো বিকল্প নেই।
কথা বলেন নির্বাচনী পরিবেশ নিয়েও। লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিয়ে জিজ্ঞেস করা এক প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, গুলশানে নাকি আমার চেয়েও বেশি তাবিথের পোস্টার। এতেই প্রমাণ হয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড একই আছে। গুলশান এলাকাতেও যদি আপনারা ঘুরে দেখেন, আমাকে একজন সংসদ সদস্য ফোন করে জানিয়েছেন গুলশান এলাকায় নাকি আমার পোস্টার কম এবং তাবিথের পোস্টার বেশি। এতেই প্রমাণ হয়, এখানে একই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে।
‘একই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যুক্ত নির্বাচনে কিন্তু আনন্দটা বেশি। আমি অনুরোধ করবো আমার প্রতিপক্ষকে আসুন আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করি। ইসির প্রতি আমার অনুরোধ নির্ভয়ে যেন ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারেন, খুশির আমেজ নিয়ে যেন তারা আসেন সে ধরনের পরিবেশ তৈরি করুন। আমি আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সাপোর্ট দিতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
এসএইচএস/এএ