রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানো পল্টনে মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ডা. সাজেদুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রিয় ঢাকা একটি ঐতিহ্যের শহর।
তিনি বলেন, ‘এতোকাল বুর্জোয়া শাসক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাই নগরের মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ গরিব-মেহনতী-মধ্যবিত্ত মানুষকে বঞ্চিত করে তারা শাসক গোষ্ঠীর নিরবচ্ছিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাসকগোষ্ঠী যেমন অবৈধ ধন সম্পদ তৈরি করে, ঢাকা নগরের মেয়রও এর কোনো ব্যতিক্রম করেনি। ’
‘এতোকাল আমরা ভোট দিয়ে প্রতিদান হিসেবে পেয়েছি গ্যাস সংকট, যানজট, জলাবদ্ধতা, কালোধোঁয়া, খাদ্যে ভেজাল, উন্নয়নের নামে লুটপাট, নদী-খাল-জলাভূমি ভরাট ও দখল, ক্যাসিনো বাণিজ্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ হাজারো সংকট। তাই ভোট দেওয়ার আগে ভাবতে হবে, কাকে আমরা মেয়র নির্বাচিত করছি? আদর্শবাদী, নিষ্ঠাবান, মেহনতি-গরিব-মধ্যবিত্তদের প্রতিনিধিকে নাকি ধনী-লুটেরা-শাসকগোষ্ঠীকে? তাই এটাই সুযোগ পরিবর্তন করার। ’
ডা. সাজেদুল হক তার নির্বাচনী ইশতেহারে ঢাকা মহানগরীতে কর্মসংস্থানের বিকল্প প্রস্তাবনা, যানজট নিরসন, বায়ু দূষণ, জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিধন, ঢাকা শহরকে সুবজ শহরে পরিণত, পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুতের সমাধান, বিষমুক্ত খাবার ও ভেজালমুক্ত বাজার নিশ্চিত করা, বস্তিবাসী ভাসমান মানুষের সমস্যা সমাধান ও বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ, নারী ও সবার নিরাপত্তা বিধান, নগরবাসীর স্বাস্থ্য ও চিকিৎসেবা নিশ্চিত করা, হকার ও রিকশা সমস্যা সমাধান, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, পর্যটন নগরীর সুযোগ-সুবিধার বিধান, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গড়ে তোলা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা ও বিনোদনের নিশ্চয়তা বিধান করা, দুর্নীতি দূর ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য নগর সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বক্তব্য রাখেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য লীনা চক্রবর্তী, আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন, কেন্দ্রীয় সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু, সিপিবি নেতা আব্দুল কাদের, ডা. ফজলুর রহমান, জাহিদ হোসেন খান, কাজী রুহুল আমিন, লুনা নূর, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
আরকেআর/আরবি/