ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটের ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুত মঞ্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
ভোটের ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রস্তুত মঞ্চ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার মূল মিলনায়তন থেকে। ইতোমধ্যেই ফলাফল প্রকাশের জন্য মিলনায়তনে মঞ্চ তৈরিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে গেলে দেখা যায়, ফলাফল প্রকাশের জন্য শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষে এখান থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ফলাফল প্রকাশের পাশাপাশি ভোটগ্রহণের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) গ্রহণ করার জন্য একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পার্কিং স্পেস ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ২৫টি করে বুথ খোলা হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।                                          ছবি: বাংলানিউজফলাফল প্রকাশের সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফলাফল প্রকাশের জন্য আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর থেকে ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি শুরু হবে। ধারণা করা হচ্ছে, বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ফলাফল আসতে শুরু করবে।

শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে গেলে দেখা যায়, মূলমঞ্চে তিনটি টেবিল বসানো হয়েছে। এর মধ্যের টেবিল থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ফলাফল ঘোষণা করবেন। এছাড়া তার ডানে ও বামে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা বসবেন।

এর আগে শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

এবার প্রথমবারের মতো বিভক্ত ঢাকার দুই সিটিতে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আর এটিই ইভিএমে সবচেয়ে বড় নির্বাচন।

ভোটে বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ নয়টি দলের ১৩ জন প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে সাতশ প্রার্থী রয়েছেন মাঠে। ফলাফল গেজেটে আকারে প্রকাশ পর্যন্ত কোনো ধরনের মিছিল, মশাল মিছিল, মোটরসাইকেল মিছিল, শোডাউন করা যাবে না। বাইক বন্ধ থাকবে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। আর সব যন্ত্রযান বন্ধ থাকবে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।  ছবি: বাংলানিউজইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, উত্তরে মেয়র পদে ৬ জন, ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ২৫১ জন এবং ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন অর্থাৎ তিন পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৩৩৪ জন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- বিএনপির তাবিথ আউয়াল, আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ, পিডিপির শাহীন খান, এনপিপির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহম্মেদ সাজ্জাদুল হক।

অন্যদিকে ডিএসসিসিতে মেয়র পদে ৭ জন, ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জন ও ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৮২ জন অর্থাৎ ৪২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে।

মেয়র পদে সাত প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের মো. আবদুর রহমান, এনপিপি'র বাহরানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আকতার উজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লা ও গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন।

ঢাকার দু’সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে এক হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দু’সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো গত ৩১ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিলো ৯ জানুয়ারি। ভোটগ্রহণের তারিখ ৩০ জানুয়ারি থাকলেও ওইদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা থাকায় তা পরিবর্তন করে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি প্রচার শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার প্রচার শেষ হলো। মোট ২১ দিন প্রচারের সুযোগ পান প্রার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
ডিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।