শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।
এর আগে প্রার্থীদের প্রায় এক মাসের প্রচার-প্রচারণায় রাজধানীকে ঢেকে দেওয়া হয় নির্বাচনী পোস্টারে।
নির্বাচনের পরের দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সেসব পোস্টার সংগ্রহ করা শুরু করে বিদ্যানন্দ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ তাদের সেই কাজ পায় দ্রুত জনপ্রিয়তা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্লবীতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় এর সদস্যদের সঙ্গে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী হাবীবুর রহমান সম্রাট এ বিষয়ে বলেন, আমরা নিজ উদ্যোগেই এসব পোস্টার সংগ্রহ করছি। কেউ কেউ আবার আমাদের কাছে দিয়ে গেছেন। আমরা ফেসবুকে পোস্টার চেয়ে একটা পোস্টও দিয়েছি। অনেকে আবার ফোন করে বা যোগাযোগ করে জানাচ্ছেন যে কোথায় পোস্টার আছে, আমরা যেন নিয়ে আসি। আমরা ইতোমধ্যে দুই ট্রাক পোস্টার সংগ্রহ করেছি। এক লাখ পোস্টারে ৪০ হাজার খাতা বানানো যাচ্ছে। আমাদের ছয়টি এতিমখানায় ৫শ শিশু রয়েছে। এছাড়া আমরা অসংখ্য পথশিশু নিয়ে কাজ করি। প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার শিশুর খাবার বিতরণ করি। এসব এতিম ও পথশিশুদের লেখার খাতা বানানোর জন্য আমরা পোস্টারগুলো সবার কাছ থেকে নিতে চাই।
পলিথিনযুক্ত পোস্টার নিয়েও কাজ করতে চায় বিদ্যানন্দ। পলিথিন বা পোস্টারগুলোকে না পুড়িয়ে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় বলে মতামত তাদের।
সম্রাট বলেন, অনেক জায়গায় দেখছি পোস্টার পলিথিন সমেত পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে কিন্তু পরিবেশের আরও ক্ষতি হয়। এর থেকে এগুলোকে অন্য কাজে ব্যবহার করা যায়। যেমন ধরুন যদি আমাদের দিলে আমরা শিশুদের মধ্যে পোশাক বিতরণ করি, বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। সে সময় এ পলি দিয়ে প্যাকেট বানাতে চাই। এছাড়া প্রতি রমজানে এক লাখেরও বেশি ইফতারি-সেহেরি বিতরণ করি, তখন ছোলা দেওয়ার জন্য আমাদের পলি লাগে। তাই এ পলিগুলো পরিষ্কার করে আমরা ওইসব কাজে ব্যবহার করতে চাই।
এখনো যেসব পোস্টার রয়েছে সেগুলোও সংগ্রহ করে কাজ করতে চায় বিদ্যানন্দ। নিজেদের এক ফেসবুক পোস্টে সংগঠনটি আহ্বান জানিয়ে বলে ‘নির্বাচনী পোস্টার আসছে ট্রাকে ট্রাকে, এখনো স্বেচ্ছাসেবকরা জেগে আছে পোস্টারগুলো কাটাকুটি করতে, এরপর সেলাই হয়ে চলে যাবে দূর্গম কোনো এলাকায়। কোনো অর্থের বিনিময়ে নয়, শুধুমাত্র দূষণ থেকে ঢাকাকে বাঁচাতে তাদের এই রাতজাগা। নয়তো আবারও বর্ষায় নালার পানি জমে ছড়াবে মশাবাহিত সব রোগ। যেসব প্রতিদ্বন্দ্বীদের অব্যবহিত পোস্টার আছে, সেগুলো দান করে দিতে পারেন এতিম শিশুদের লেখার খাতার জন্য। আপনাদের সাড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এসএইচএস/এএটি