ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ আগামী ২৯ মার্চ দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এজন্য ভোটের দিন দুপুর ১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বেবি ট্যাক্সি, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপভ্যান, প্রাইভেটকার, ট্রাক, টেম্পো, ইজিবাইক এবং স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন যন্ত্রচালিত যান চলাচলের ওপর সীমিত আকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
অন্যদিকে ২৭ মার্চ মধ্যরাত ১২টা থেকে ৩০ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে মোটরসাইকেল চলাচল।
এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে যানবাহান ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থী ও তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। আবার সাংবাদিক, নির্বাচনে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজ্য হবে না। বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহের জন্যও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যাবে।
আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের পুরো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে, এ নির্বাচনে মেয়রপদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম। এছাড়াও কাউন্সিলর পদে ২ শতাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
ইইউডি/এএটি