ঢাকা: রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০ এর খসড়ার ওপর মতামত দেওয়ার জন্য ২৪ দিন সময় বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে সময় শেষ হচ্ছে ৩১ জুলাই।
ইসির উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খান সময় বাড়ানোর চিঠিটি দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে পাঠিয়েছেন।
গত ১৬ জুন দলগুলোকে প্রস্তাবিত আইনের ওপর মতামত দেওয়ার জন্য চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন। এছাড়া নাগরিক সমাজকেও মতামত দেওয়ার জন্য ৭ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় সংস্থাটি।
বিএনপি করোনাকালে আইন প্রণয়নের কার্যক্রম স্থগিত করার দাবি জানিয়ে মতামত প্রদান থেকে বিরত থাকে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কিছুদিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।
এ নিয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর জানান, দল নিবন্ধন আইনের ওপর মতামত দেওয়ার সময় বাড়ানো হচ্ছে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকের দলগুলোকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দিল ইসি।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন দল নিবন্ধনের জন্য বিধানযুক্ত (ভিআইএ অধ্যায়) করেন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও)। এতে নিবন্ধন পেতে তিনটি প্রধান শর্ত জুড়ে দিয়ে যেকোনো একটি পূরণ করতে বলা হয়। বর্তমান কেএম নূরুল হুদার কমিশন সেই তিনটি শর্তের মধ্যে অন্তত দুটি পূরণ করার জন্য বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নে হাত দিয়েছে। আর আরপিও থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভিআইএ অধ্যায়টি।
এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীপদ পূরণের যে বিধান ছিল, তা তুলে দিয়ে নারীপদ পূরণের বিষয়টি দলের মর্জির ওপর ছেড়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বলা হচ্ছে-দল তার গণঠতন্ত্রে উল্লেখ করবে, কতদিনের মধ্যে সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীপদ পূরণ করবে এবং প্রতিবছর সেই সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ইসিকে অবহিত করবে।
এছাড়া পরপর দু্ইবার কোনো দল সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধানও প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে।
এই বিধানগুলো ছাড়াও দল নিবন্ধনের জন্য একগুচ্ছ শর্ত রাখা হচ্ছে প্রস্তাবিত নতুন আইনে।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ৪১টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে অবশ্যই ইসিতে দল হিসেবে নিবন্ধন নিতে হয়। এজন্য প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২০
ইইউডি/এএটি