ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নির্বাচন হলে কেন ভোট কম পড়ে, তার কারণ খুঁজে বের করতে গবেষণা করা প্রয়োজন। তাই কেউ চাইলে গবেষণা করে দেখতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনে সোমবার (২০ জুলাই) তার দফতরে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা গবেষণা করলে তো কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই অন্য কেউ গবেষণা করাই তো ভালো।
গত ১৪ জুলাই করোনার মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হলেও বগুড়া-১ আসনে ভোট পড়ে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর যশোর-৬ আসনে ভোট পড়ে ৬৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। অথচ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইভিএমের ভোট পড়ার হার এর চেয়ে অনেক কম।
এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ঢাকাতে হয়তো এমন হয়। কিন্তু ঢাকার বাইরে ভোটারদের উপস্থিতি সব সময় ভালো। আর ইভিএমে ভোট কম পড়ার কারণ গবেষণার বিষয়। এটা গবেষণা ছাড়া বলা সম্ভব না। তবে ইভিএমে কারচুপি হয় না।
তিনি বলেন, একটা জরিপ হওয়া উচিত। জরিপ হলে হয়তো বোঝা যাবে, কেন ইভিএমে ভোট কম পড়ে।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হয়েছিল। সে সময় ভোট পড়েছিল ২১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। অবশিষ্ট আসনগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়। ওই নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ। আর ইভিএমের আসনগুলোতে ভোট পড়েছিল ৫০ শতাংশের মতো।
২০১৯ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সারাদেশের উপজেলাগুলোতেও পাঁচ ধাপে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি। সে সময় কোনো ধাপেই ভোট পড়ার হার ৫০ শতাংশের কাছকাছি যেতে পারেনি।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটিতেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভোট পড়ার হার ছিল ২৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। এই দুই সিটিতেই ২০১৫ সালের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল যথাক্রমে ৩৭ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
ঢাকা সিটি নির্বাচনের আগে খোদ জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ইভিএমে ৫০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় ব্যালট পেপারে ভোট করার দাবি তুলেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি