রাজশাহী: রাজশাহীর দু’টি পৌরসভায় আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পেয়েছেন- আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী।
এ দিন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এবং তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দু’টি পৌরসভাতেই ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করেন। পরে রাতে রাজশাহী নির্বাচন কার্যালয় থেকে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী শহিদুজ্জামান শহিদ। নৌকা প্রতীকে ১০ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এবার নিয়ে শহিদ কেশরহাট পৌরসভায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন।
এবার নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী প্রভাষক খুশবর রহমান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ ভোট।
এই পৌরসভায় মেয়র পদে অপর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান আকন্দ জগ প্রতীকে ১ হাজার ২৭০ ভোট এবং নারিকেল গাছ প্রতীকে রুস্তম আলী প্রামাণিক পেয়েছেন ২৭ ভোট।
শনিবার রাতে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ ফজলুর রহমান।
অপরদিকে রাজশাহীর মুণ্ডুমালার ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. কামরুজ্জামান।
ফলাফল অনুযায়ী মুণ্ডুমালার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন- আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান। জগ প্রতীকে ৫ হাজার ৪৫৯ ভোট পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমির হোসেন আমিন পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৮ ভোট। বিএনপির প্রার্থী ফিরোজ কবির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮১ ভোট।
মুণ্ডুমালায় সাইদুর রহমান সরাসরি একটি কলেজের নৈশ্যপ্রহরী পদে থেকে মেয়র নির্বাচিত হলেন। ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে তিনি নির্বাচনে এসেছিলেন। সাইদুর রহমান নৈশ্যপ্রহরী পদে যোগ দেওয়ার আগে কুলির সর্দার ছিলেন বলেও এলাকার লোকজন জানেন। তিনি মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। না পেয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তবে পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে বহিষ্কারের কথাও জানানো হয়। করোনাকালে এলাকার মানুষের পাশে থেকে জনপ্রিয়তা সাইদুর রহমান। ভোটে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে ৬১ ভোটে হারিয়ে দিলেন।
তাকে নিয়ে ওই নির্বাচনী এলাকায় এরই মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এসএস /এসআইএস