কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় সব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্বতন্ত্র/বিদ্রোহী প্রার্থীকে যে কোন মূল্যে এলাকা ছাড়া করতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও শোল্লা ইউপির নৌকার প্রার্থী মো মিজানুর রহমান ভূইয়া কিসমত । শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের মেলেং মাঠে নৌকার প্রার্থী বশির আহমেদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের এ নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শনিবার রাতের মধ্যেই আপনারা যেখানে থাকেন, দয়া করে দলের স্বার্থে, প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের এমপি মহোদয়ের স্বার্থে নিজেদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করেন। নইলে অন্যান্য নেতাদের মত আমিও একই সুরে বলতে চাই কৈলাইল ইউনিয়নের যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ আপনাদের দায়িত্ব রইল তাদেরকে এলাকা ছাড়া করে দেওয়া। তারা কৈলাইল থাকতে পারবে না, যে কোন মূল্যে তাদেরকে কৈলাইল থেকে বিতাড়িত করতে হবে। উপজেলায় অন্যত্র যারা (বিদ্রোহী) আছে ,তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘোষণার পর থেকে উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রচারণায় দেখা যায়নি। অনেকে তাদের ঘরবাড়িতে আক্রমণ ও ভাঙচুরের অভিযোগ করছেন।
কৈলাইল ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, তাকে প্রচারণায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না। তার নির্বাচনী ক্যাম্পের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে।
আরেক প্রার্থী পান্নু মিয়ার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থীর লোকজন সকালে তাদের বাড়িতে দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তাদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না, ছেলে-মেয়েদের স্কুল থেকে তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
একই অভিযোগ আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ন কবিরের কর্মী-সমর্থকদের।
হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা বলেন, নেতাদের হুমকি ধামকির পর আমরা প্রচারণায় বের হতে পারছিনা, তারা মানুষের কাছে রটাচ্ছে যেকোন মূল্যে আমাদের প্রতিহত করবে। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই।
এছাড়া শিকারী পাড়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আইযুব মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী আলীমুর রহমান খান পিয়ারের ছেলে তানভিরের নামে।
এ ব্যাপারে হুমকি দাতা মোশাররফ হোসেন কিসমতের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, এনিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। আর কৈলাইন ইউনিয়নটি আমার এলাকার বাইরে হওয়ায় এখানে কিছু করার নেই। তবে যেহেতু উপজেলার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে ভাষণে, তাই অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড