ঢাকা: ফরিদপুর-২ আসনের নির্বাচনও সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য প্রতি ভোটকক্ষের বাইরেই বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ প্রকল্প উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুটো এবং প্রতি কক্ষের বিপরীতে একটা করে মোট এক হাজার ৫২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
ইসি সচিবালয় থেকে এসব ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, গাইবান্ধা ৫ উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচনে সফলভাবে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পর এই নির্বাচনেও এ প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে ইসি।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানিয়েছে- শনিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
ইতোমধ্যে ভোটের উপকরণ কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। আইন-শৃঙ্খলাকারী বাহিনীর সদস্যরাও অবস্থান নিয়েছে।
ফরিদপুর-২ আসনটি নাগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এতে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন। নির্বাচনে ১২৩ ভোটকেন্দ্রের ৮০৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শাহাদাব আকবার লাবু চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আলমগীর মিয়া (জাতীয় পার্টি), জামাল হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র) বৈধতা পান। এছাড়া মো. কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), মো. আবদুল কাদেরের (স্বতন্ত্র) মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এদিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আলমগীর মিয়া তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২২
ইইউডি/এসএ