পর্দা নামলো ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’-এর। শুক্রবার (৩ মার্চ) ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী একযোগে ৬৪ জেলায় চলা এই আয়োজনের সমাপনী দিন।
এদিন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে.এম. খালিদ এমপি। আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজনের সভাপতি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক জনাব মসিহ্উদ্দিন শাকের।
এবারে উৎসবে প্রদর্শীত ৩৬ টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ৭ ক্যাটাগরিতে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন ২০ জনের মধ্যে থেকে ৭ জনকে চূড়ান্ত হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
এবার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে মুহাম্মদ কাইয়ুম পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ‘লাল মুরগের ঝুঁটি’র জন্য নুরুল আলম আতিক, বিশেষ জুরির পুরস্কার পেয়েছে রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত ‘নোনা জলের কাব্য’। ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্র গ্রাহক সাইয়ীদ কাশেফ শাহবাজী, ‘শিমু’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পাদক সুজন মাহমুদ, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ এবং ‘সাঁতাও’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ প্রোডাকশন ডিজাইনারের পুরস্কার পেয়েছেন খন্দকার সুজন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকছে, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র- ২ লাখ টাকা। এছাড়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা- ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বিশেষ জুরি- ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ সাউন্ড ডিজাইনার এবং শ্রেষ্ঠ প্রোডাকশন ডিজাইনার প্রতিজন পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে। অনুষ্ঠান শেষে সকল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে ছিলো বিশেষ প্রীতি সম্মেলনি।
এদিকে, ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’র শেষ দিন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় প্রদর্শিত হয় চলচ্চিত্র: ‘মুজিব আমার পিতা’ ও বিকেল ৪টায় ‘নোনা জলের কাব্য’।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩
এনএটি