আগামী বুধবার (৮ অক্টোবর) পথচলার ২১ বছরপূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। বরাবরের মতো এবারও বিশেষ আয়োজনে দিনটি উদযাপন করছে এই মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল।
এবারের আয়োজন সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের এজিএম মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘এই দীর্ঘ পথচলায় শুরু থেকেই আমাদের একনিষ্ঠভাবে সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছেন বিনোদন সাংবাদিকরা। দর্শকদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের ভালোবাসা স্টার সিনেপ্লেক্সকে এ পর্যায়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তাই এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আয়োজন থাকছে সাংবাদিকদের কেন্দ্র করে।
৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় স্টার সিনেপ্লেক্সেও বসুন্ধরা সিটি শাখায় সাংবাদিকদের জন্য একটি স্পেশাল মুভি শো আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া দর্শকদের জন্যও থাকছে বিশেষ উপহার। ৮ অক্টোবর স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায়, সব শোতে, যে কোনো সিনেমার জন্য একটি টিকিট কিনলে আরেকটি টিকিট ফ্রি পাবেন দর্শকরা।
২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে দেশের প্রথম এই মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল। দেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের কাছে একটি অভিনব সংযোজন হয়ে আসে এটি। বিশ্বমানের সিনেমা হলের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায় দর্শক। বিভিন্ন সংকটের কারণে যখন দর্শক হলবিমুখ হয়ে পড়েছিল তখন নতুন আশার আলো নিয়ে আসে স্টার সিনেপ্লেক্স। সুপরিসর হল, নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্বলিত সাউন্ড সিস্টেমসহ নানা অভিনবত্বের মধ্য দিয়ে অল্প সময়ে দর্শকদের মন জয় করে নেয় এটি। পরিবার নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার হারানো সংস্কৃতি যেন ফিরে আসে আবার। একটা সময় হলিউডের ছবি বড় পর্দায় দেখার সুযোগ ছিলো না বাংলাদেশের দর্শকদের। সেই আক্ষেপ ঘোচায় স্টার সিনেপ্লেক্স।
দেশের সিনেমার পাশাপাশি হলিউডের সিনেমার টিকিটের জন্য কখনো কখনো ভোর থেকে হাজারো মানুষের দীর্ঘ লাইনের দৃশ্য দেখা যায় এখানে। এমনকি সিনেমা মুক্তির এক সপ্তাহ আগেই অনলাইনে টিকিট বিক্রি সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। সবমিলিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সকে জনপ্রিয় একটি বিনোদন কেন্দ্র বলা যায়। তাই এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও সংশ্লিষ্ট মানুষের কাছে একটা বিশেষ আবেদন রাখে।
২১ বছর পূর্তিতে দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দর্শকরাই স্টার সিনেপ্লেক্সের চালিকাশক্তি। আমাদের এই মাল্টিপ্লেক্সের যে বিস্তৃতি ঘটেছে তা সম্ভব হয়েছে দর্শকদের ভালোবাসার কারণে। আসলে দর্শকরা সবসময় ভালো সিনেমা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। দর্শক যেন নিরাপদে একটা উন্নত পরিবেশে এসে সিনেমা উপভোগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি আমরা। দর্শকরা আমাদের ওপর নির্ভর করতে পেরেছেন এটাই আমাদের বড় সাফল্য। বরাবরই দর্শকদের চাহিদা এবং প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা। পর্যায়ক্রমে এর পরিধি আরও বাড়বে। শুধু বিদেশি ছবির ওপর নির্ভরতা নয়, আমরা চাই আমাদের দেশে নিয়মিতভাবে ভালো ভালো ছবি নির্মিত হোক। বাংলাদেশের সিনেমা দেখার জন্য সবসময় হলে ভিড় লেগে থাকুক। ’
উল্লেখ্য, বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্টার সিনেপ্লেক্সের মোট ২২টি হল চালু রয়েছে। আরও কিছু শাখার নির্মাণকাজ চলছে। আগামী বছরের মধ্যে হলসংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
এএটি