বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক ও র্যাপার বাদশা বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়। ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত এই গায়ক বাংলাদেশে এসে নাচে-গানে মাতিয়েছেন ঢাকাবাসীকে।
এদিন ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির (আইসিসিবি) এক্সপো জোনে ছিল দর্শকদের উপচেপড়া ভিড়। জনপ্রিয় সব গান গেয়ে দর্শকদের বুদ করে রাখেন বাদশাহ। বিপণন প্রতিষ্ঠান ওয়েবএবলের আয়োজনে এই কনসার্ট শুধু ঢাকাই নয় বরং অনলাইনে সরাসারি লাইভ হওয়ায় দেশের সীমনা পেরিয়ে সারা বিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীদের উপহার দিয়েছে জমজমাট একটি আনন্দময় সন্ধ্যা।
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতাও পালন করা হয় কনসার্টে। মিউজিক ফেস্টটি উপভোগ করতে নেপাল, ভারত এবং শ্রীলঙ্কা থেকেও অনেকে টিকিট কেটে এসেছিলেন।
ওয়েবএবলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেকনো স্পার্ক ২০ সিরিজ মিউজিক ফেস্টে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক ও র্যাপার ‘বাদশাহ’। আনুষ্ঠানিভাবে বাংলাদেশে বাদশাহ'র এটি প্রথম পারফরমেন্স। প্রথম আয়োজনেই দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি।
ঢাকায় তিনি, ‘জুগ্নু’, ‘পানি পানি’, ‘গরমি’, ‘ডিজে ওয়ালা বাবু’, ‘লেটস নাচো’, ‘কালা চশমা’, ‘কর গাই চুল’, ‘গেন্দা ফুল’, ‘আভি তো পার্টি শুরু হুই হ্যায়’ এবং পাগাল’ সহ তার জনপ্রিয় গানগুলো দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন ।
বাদশাহ তার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে বলেন, পরম ভালোবাসা ও অভ্যর্থনার জন্য বাংলাদেশের দর্শকদের ধন্যবাদ। বাংলাদেশ পারফর্ম করে খুবই ভালো লেগেছে এবং আমি আবার এই দেশে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। অসাধারণ এই আয়োজনের জন্য আয়োজকদের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
টেকনো স্পার্ক ২০ সিরিজ মিউজিক ফেস্টে বাদশাহ ছাড়াও দেশি ও বিদেশি শিল্পীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই ফেস্টে ‘ফুয়াদ এন্ড ফ্রেন্ডস’, ‘প্রিতম হাসান’, ‘জেফার’, ‘সঞ্জয়’ এবং ‘ব্ল্যাক জ্যাং’ সহ প্রশংসিত আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশি শিল্পীরা পারফর্ম করেন।
সঙ্গীত প্রযোজক এবং কম্পোজার ফুয়াদ বলেন, অসাধারণ আয়োজন ছিল। ঠিক সময়ে শুরু হয়েছে এবং সময়সূচি অনুযায়ী ঠিক সময়েই শেষ হয়েছে। নিরাপত্তা এবং শিল্পীদের আতিথেয়তা সবকিছুই গোছানো ছিল।
এই মিউজিক ফেস্টটি শুধুমাত্র নাচ-গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। অনুষ্ঠানে আগত দর্শক তাহসিন মাহমুদ বলেন, আমি শো'তে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। লাইনআপ এবং ভিজ্যুয়াল ছিল ভিন্ন মাত্রার। এছাড়া আতশবাজির ঝলক ছিল অসাধারণ। এমন বড় মাপের আন্তর্জাতিক শিল্পীর উপস্থিতিতে পুরো আয়োজনটি জাকজমক পার্টির মতো মনে হয়েছিল। এত বড় আয়োজনের সব কিছুই টাইম-শিডিউল মেনে সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে।
টেকনো মোবাইলের প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানুল হক বলেন, এই আয়োজনটি প্রতিটি অর্থেই ছিল একটি গেম চেঞ্জার। আমরা এতো বড় অনুষ্ঠানের বাস্তবায়ন এবং দর্শকদের জন্য একটি অবিস্মরণীয় জমজমাট সঙ্গীত আয়োজন উপহার দিতে পেরে গর্বিত।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়েবএবলের কর্নধার আনিস হান্নান চৌধুরী বলেন, দর্শকদের অগণিত সাড়া পেয়ে আমরা অভিভূত। আমরা এমন একটি কনসার্টের আয়োজন করতে চেয়েছিলাম যা বাংলাদেশে মাইলফলক হয়ে থাকবে। আশা করি আমরা তেমনি একটি আয়োজন উপহার দিতে পেরেছে। এই আয়োজন দর্শকরা অনেকদিন মনে রাখবে। বাংলাদেশের মঞ্চে আরও বড়মাপের আন্তর্জাতিক শিল্পীদের উপস্থাপন এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশীয় প্রতিভা উপস্থাপনের জন্য আমরা সামনে আরও কাজ করবো।
ওয়েবএবল-এর চেয়ারম্যান সৈয়দ শাদাব মাহাবুব বলেন, আমাদের টিমের সবার অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় টেকনো স্পার্ক ২০ সিরিজ মিউজিক ফেস্ট দারুণ সফলতা পেয়েছে। দর্শকদের মনে দাগ কেটে যাওয়ার মতো এমন আয়োজন আরও করতে চাই। আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা আছে দেশে এবং বিদেশে আরও অনেক লাইভ অনুষ্ঠান করা এবং বিশ্বমঞ্চে আমাদের শক্ত অবস্থান তৈরি করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৪
এনএটি