ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

‘কোথায় সে জন’ নাটকের দুই যুগ পূর্তিতে সংবর্ধনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
‘কোথায় সে জন’ নাটকের দুই যুগ পূর্তিতে সংবর্ধনা ‘কোথায় সে জন’ নাটকের দুই যুগ পূর্তিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

ঢাকা: ১৯৯৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) প্রচারিত হয় প্রথম আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্যাকেজ নাটক ‘কোথায় সে জন’। পরিচালনা করেন বিশিষ্ট নাট্যকার শহীদুল হক খান।

নাটকটির দুই যুগ পূর্তি হলো বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাটকটির শিল্পী ও কলাকুশলীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নারী শিল্পোদ্যোক্তা কনা রেজা। সভাপতিত্ব করেন সাবেক তথ্যসচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, নাট্যকার ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।  

আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুন, সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান, চলচ্চিত্র ও নাট্য প্রযোজক এ কে এম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনা রেজা বলেন, ইতিহাস গড়া এই নাটকটি অনেকের জন্য আদর্শ হয়ে রয়েছে। বিটিভির প্যাকেজ নাটকে এটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

‘কোথায় সে জন’ নাটকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নাট্যকার ইমদাদুল হক মিলন বলেন, তখন এই নাটকটি আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল। শহীদুল হক খান ভাই আমার শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। তার নাটক লিখতে যদি খারাপ হয়, সে ভয়টা কাজ করেছিল। নাটকটি ইতিহাসের একটি অংশ হয়ে গেল। আজ এত বছর পর সেই নাটক নিয়ে কথা বলতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।

শহীদুল হক খান বলেন, এই নাটক করতে গিয়ে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিটিভির বাইরের কোনো নির্মাতা হিসেবে আমি প্রথম এই প্যাকেজ নাটকটি নির্মাণ করি। অনেকে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। আজ নাটকটি দুই যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।

অনুষ্ঠানে ‘কোথায় সে জন’ নাটকের প্রযোজক এ কে এম জাহাঙ্গীর খান, পরিচালক শহীদুল হক খান, লেখক ইমদাদুল হক মিলন, অভিনেতা এস এম মহসিন, অভিনেত্রী আফরোজা হাসান ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খানকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
জেআইএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।