রবিউল ইসলাম জীবন, এ সময়ের একজন তরুণ গীতিকবি। তবে মিডিয়ার তার পরিচিতি একজন পরিশ্রমী সাংবাদিক হিসেবে।
শুধু কী তাই! এই বয়সেই গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন আদায় করে নিয়েছেন স্বীকৃতিও। সম্প্রতি যমুনা পাড়ে অনুষ্ঠিত জমকালো সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে পপুলার ক্যাটাগরিতে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন। অবশ্য এটাই তার পাওয়া প্রথম পুরস্কার পাওয়া নয়। এর আগেও তিনি সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাষ্ট্রিতে এই প্রথম কোন গীতিকার পর পর দুই বছর শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন।
সিটিসেল চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডের পুরস্কার গ্রহন করে জীবন এটি প্রিয় বন্ধু অকালপ্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী আবিদকে উৎসর্গ করেন। প্রয়াত বন্ধুর স্মৃতিচারণ করে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন রবিউল ইসলাম জীবন। কারণ গত বছর পুরস্কারটি পাওয়া মাত্র প্রিয় বন্ধু আবিদ সবাইকে তা জানিয়েছিলেন। আজ আবিদ নেই, তাই এই পুরস্কার তার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন জীবন।
রবিউল ইসলাম জীবন এবারের চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ গীতিকারের
পুরস্কার পেয়েছেন কন্ঠশিল্পী এ্যানির ‘আবেগ’ অ্যালবামটির টাইটেল গানটির জন্য।
শখের বশেই রবিউল ইসলাম জীবন গান লিখে থাকেন। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হবেন। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন সাংবাদিকতা । কলেজ জীবন থেকেই তার একটু আধটু গান লিখার অভ্যাস। তবে কখনোই আশা করেন নি যে, গীতিকার হিসেবে সফলতা পাবেন। তার লেখা গানগুলো তরুণ গায়ক-গায়িকাদের কন্ঠে আজ শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়। চলতি বছর প্রায় ৩০-৪০ টি গানের কথা লিখেছেন। শুরু থেকে অনেক গান লিখেছেন তিনি। তবে এরমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘ জ্বলে উঠো বাংলাদেশ’, ‘ এক পা দু পা’, ‘যাযাবর’, ‘সহেনা যাতনা’, ‘প্রতিদিন দেখি তোমায়’, ‘দলিল’ সহ আরও অনেক গানের কথা।
বাংলাদেশ সময় ১৭৪৫, ডিসেম্বর ০৩, ২০১১