অথচ ক’দিন আগেও রাতে বেলায় শীতের তীব্রতা এতোটা ছিল না। পৌষ শেষ, ‘মাঘের শীত বাঘের গায়’, এ প্রবচনই যেন এখন মাঘের শুরু থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতি।
মাঘের প্রথম দিন শনিবারই (১৪ জানুয়ারি) হিম শীতল ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে যায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনপদ সিলেটের মানুষ। এই আবহাওয়ার কারণেই এ দিন সিলেটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে বলে জানান স্থানীয় আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। এটাই এ মৌসুমের রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বলেন তিনি।
আর এ দিন বিভাগের মধ্যে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সেখানে তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২০০৪ সালে ‘বাঘ কাঁপানো’ শীত নেমেছিল সিলেটে। সে বছর এখানে সর্বনিমম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার নিম্নগতি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে, বলেন সাঈদ আহমদ।
এদিক, হঠাৎ কনকনে শীত নামায় উষ্ণ কাপড়ের দোকানে লেমেছে মানুষের ভিড়। গরম কাপড়ের বিকিকিনিও বেড়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে ছিন্নমূল ও দুস্থ মানুষ পড়েছে বিপাকে। গরম কাপড় না থাকায় শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালিয়ে খানিকটা উষ্ণতার পরশ খুঁজতে দেখা গেছে ছিন্নমূল মানুষকে।
হঠাৎ আবহাওয়ার বৈরী প্রভাবে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে শহর-গ্রামাঞ্চলে। সে কারণে হাসপাতালগুলোতে দেখা যাচ্ছে শীতকালীন রোগীদের আনাগোনা।
গত দুই-তিনদিনে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যা বেশি। এজন্য শিশু ও বৃদ্ধদের সবসময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখার পাশাপাশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবার শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষের মধ্যে এসব কম্বল বিতরণ করা হবে বলে জানানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এনইউ/এইচএ/