তিন-চার দিন ধরে চলছে তাদের আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম। এতে প্রাকৃতিক পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সরেজমিন মহাজিরাবাদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের ‘জান্নাতুল ফেরদৌস’ নামক এলাকায় মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে পাহাড় কেটে রাখা হয়েছে। ফলে উপরে অবস্থিত আনারস বাগানের টিলাটি মারাত্মক ঝুঁকির মুখে।
এ কাজে তদারকির দায়িত্বপালনকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এখানে গাইড ওয়াল হবে। তাই চারপাশের মাটিগুলো কিছুটা সরানো হয়েছে।
পাহাড় কাটার প্রশ্ন তুললে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমরা পাহাড় কাটছি কোথায়? এখানে আগে একটি সেফটিক ট্যাংক ছিল। এখন সেই সেফটিক ট্যাংকটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে এখানে স্থায়ী ওয়াল নির্মাণ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক ব্যক্তি অভিযোগ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, তারা পাহাড় কাটার পাশাপাশি আমাদের যাতাযাতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। দৈনিক দু-তিন হাজার মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এ পথটি ব্যবহার করে থাকে।
পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এভাবে প্রাকৃতিক পাহাড় ধ্বংস করে যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ আমাদের পরিবেশবিরোধী। গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা এরকম কর্মকাণ্ড আশা করি না। প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা এবং বনসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকার কথা বিবেচনা করে এ ব্যাপার প্রসাশনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি একটি জরুরি কাজে সিলেট এসেছি। আপনি পাহাড় কাটার ছবিগুলো ফেসবুক ইনবক্সে দেন। এ ব্যাপারে আমি সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বলছি।