সোমবার (১৭ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে স্থাপিত বন্যপ্রাণি উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এ অপারেশনটি করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন এল্যায়েন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সরীসৃপ গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, শামীম রেজা সাইমুন ও আকিব হাসান।
অপারেশনটি পরিচালনা করেন ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আবু সায়েম আরিফ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রেডিও ট্রান্সমিটারটির ওজন সাপটির মোট ওজনের তুলনায় .২ শতাংশ। যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং এটি বসানোর পর এখন পর্যন্ত সাপটির দৈহিক কোনো সমস্যা হয়নি। এই এক বছর সময়কালে সাপটির ওজন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় এক কেজি।
ডা. আরিফ আরো বলেন, রেডিও ট্রান্সমিটারের ব্যাটারির মেয়াদ ১৮ মাস থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত থাকে। আর তাই সময় থাকতেই ট্রান্সমিটার অপসারণ করে ফেলা হয়েছে। অজগর সাপটি বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। একে আগামী ৪৮-৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রেখে বনে অবমুক্ত করা হবে।
সরীসৃপ গবেষক শাহরিয়ার সিজার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ‘বাংলাদেশ পাইথন প্রজেক্ট’র চলমান গবেষণা কাজের অংশ হিসেবে এই অজগর সাপের শরীরে একটি ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়। মূলত অজগর সাপের গতিবিধি, আচরণ, খাদ্যাভ্যাসসহ তার জীবন বৃত্তান্ত জানার লক্ষ্যেই এই রেডিও ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়। অজগরটি শনাক্তকরণের সুবিধার্থে নাম রাখা হয় ‘হাসান’।
বাংলাদেশ বন বিভাগের সহয়ায়তায় ‘ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন এলায়েন্স’ দীর্ঘ চার বছর যাবত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ‘রেডিও টেলিমেট্রি’ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অজগর সাপের ওপর এই গবেষণা করে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, ১৭ এপ্রিল ২০১৭
বিবিবি/এনটি