বুধবার (১০ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ে তিন দিনব্যাপী এশিয়া-প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (এবিইউ) তৃতীয় গণমাধ্যম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুহিত বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং নিজেরাই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী ক্লাইমেট চেঞ্জ ফান্ড গঠনের আগেই বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বাধীনতার পরপরই ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষতি হয়। কক্সবাজারের ৫ লাখ মানুষ মারা যায়।
মুহিত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মুজিব কিল্লা নির্মাণের মাধ্যমে তা মোকাবিলা করেছিল। এখন তার চেয়ে বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় হলেও খুব বেশি প্রাণহানি ঘটে না। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশের সঙ্গে বিদেশি অর্থায়ন করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বছরে ৩৮ বিলিয়ন টন খাদ্য উৎপাদন করে। এতে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি।
‘সবার জন্য তথ্য, জীবন বাঁচাতে গণমাধ্যম’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকায় শুরু হলো এবিইউ’র তৃতীয় সম্মেলন। তিনদিনের এ সম্মেলন শেষ হবে ১২ মে।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, সম্প্রতি সিলেট বিভাগের ছয় জেলায় বন্যা নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্য নিয়ে ইতিবাচক প্রচার মাধ্যমে বড় ভূমিকা রেখেছে আমাদের গণমাধ্যমে।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন-অর-রশিদ ও এশিয়া-প্যাসিফিক ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (এবিইউ) সেক্রেটারি জেনারেল জাভেদ মুত্তাঘী।
সভাপতিত্ব করেন তথ্য সচিব গোলাম মরতুজা আহমদ।
এবিইউ’র বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার যৌথভাবে আয়োজিত সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গণমাধ্যমের ভূমিকা নির্ধারণে বিশ্বের ১৭টি দেশের গণমাধ্যম কর্মী, ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনেরা অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এসই/এসএইচ