গবেষকরা জানান, এ পরজীবীগুলো মাছের নাক দিয়ে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে এর মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলতে শুরু করে। এসব মাছ খেলে বা পানিতে সাঁতার কাটলে তা মানুষেও সংক্রমিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফের হিসাব অনুযায়ী, এবছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার লেপার্ড সার্ক মারা গেছে সান ফ্রান্সিস্কো বে’তে। সেখানকার একজন গবেষক ডক্টর মার্ক ওকিহিরো এসব মৃত হাঙরের দেহ পরীক্ষা করেন। তিনি তিনটি হাঙরের ডিএনএতে একধরনের পরজীবীর সন্ধান পান, যা ধীরে ধীরে হাঙরের মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলেছে।
ডক্টর ওকিহিরো জানান, আমরা মোটামুটি নিশ্চিত পরজীবীর কারণেই এসব মাছ মারা যাচ্ছে। আমরা এর নাম দিয়েছি মিয়ামিয়েন্সিস অ্যাভাইডাস (Miamiensis avidus)। এরা এককোষী জীব। এর গঠন অনেকটা অ্যামিবার মতো।
এ বিষয়ে আরও ব্যাপক আকারে গবেষণার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফিস অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফের ডেপুটি ডিরেক্টর গেব টিফানি জানান, লেপার্ড সার্ক বিলুপ্তির হুমকিতে না থাকায় এ খাতে আমরা কোন ফান্ড বরাদ্দ করছি না। বরং আমরা এ অঞ্চলের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা করার দিকে জোর দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ