সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত ডব্লিউএমও’র গবেষকরা বিশ্বের ৫১টি রাষ্ট্রের গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ পর্যবেক্ষণ করেন। জানা গেছে, ২০১৬ সালে বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের গড় উপস্থিতি ছিল চারশ’ তিন দশমিক তিন পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন)।
ডব্লিউএমও’র বৈশ্বিক বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের প্রধান ওকসানা টারাসোভা বলেন, এর আগে বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি দেখা গেছে ১৯৯৭ সালে। সেবার দুই দশমিক সাত পিপিএম বেড়েছিল। এবারের বৃদ্ধি তিন দশমিক তিন পিপিএম। শেষ দশকের গড় বৃদ্ধির চেয়ে তা ৫০ শতাংশ বেশি।
টারাসোভা আরও বলেন, ক্রমবর্ধমান কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ আমাদের দুশ্চিন্তা হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ, এই গ্যাস শতাব্দী পর্যন্ত একই রকম সক্রিয় থাকে।
বর্তমানে এ পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করার মতো যথেষ্ট গাছপালা নেই। ফলে তা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে খরার প্রবণতা সৃষ্টি করছে বলে জানান গবেষকরা। এছাড়া বায়ুমণ্ডলে অন্যান্য গ্রিন হাউজ গ্যাস যেমন-মিথেন, নাইট্রিয়াস অক্সাইড ইত্যাদির দ্রুত বৃদ্ধি জলবায়ুতে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন আনতে পারে।
টারাসোভা বলেন, গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে অতি দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে। অথচ এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের জ্ঞান খুব সীমিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি পৃথিবীতে শেষবার দেখা দিয়েছিল ৩০ থেকে ৫০ লাখ বছর আগে মধ্য-প্লায়োসিন যুগে। তখন পৃথিবীর তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছিল। এর ফলে গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম এন্টার্কটিকার বরফ গলে যায় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১০ থেকে ২০ মিটার বেড়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এনএইচটি/আরআর