হেমন্তকালের এই বৃষ্টিমুখরতায় ভর করে এসেছে শীতের কনকনে অনুভূতি। এতে হতদরিদ্র মানুষগুলো পড়েছেন দুর্ভোগের মাঝে।
তবে থেমে নেই দেশের চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিকরা। প্রতিদিনের মতো পাতা চয়নের কাজে বেরিয়ে পড়েছেন যে যার মতো করে। বাধ্যতামূলক ২৪ কেজি চা পাতা উত্তোলনের নির্দেশনা নিয়ে চা শ্রমিকরা লেগে গেছেন যে যার কাজে। বৃষ্টিমুখর পরিবেশ চায়ের সবুজ পাতায় পাতায় সমৃদ্ধি-সফলতা ছড়িয়ে দিয়েছে।
তবে এটিই শেষ নয়; দিনপঞ্জিকার তালিকায় অনতিদূরে রয়েছে আরেকটি বৃষ্টিপাতের তারিখ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, সিলেট এর আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আজ শনিবার আবহাওয়া একটু বেশি খারাপ থাকবে। আগামীকাল রোববার দুপুর আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। ওয়েদারের একটা ডিপ্রেসনের কারণে এটি হচ্ছে। তবে এই ডিপ্রেসন কনটিনিউ করবে না।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই ডিপ্রেসনজনিত বৃষ্টিপাত সারাদেশেই রয়েছে। তবে দেশের সাউথ সাইড অর্থাৎ বরিশাল, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার, টেকনাফ এবং সুন্দরবনের পুরো এলাকাজুড়ে বেশি হচ্ছে। দেশের কিছু কিছু জায়গায় ষাট-সত্তর মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই তুলনায় আমাদের সিলেট অঞ্চলে পাঁচ-সাত মিলিমিটার বৃষ্টিপাত - এ সেটা তেমন কিছু না।
পরবর্তী বৃষ্টিপাত উল্লেখ করে সিলেটের এই আবহাওয়াবিদ বলেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর ভোর রাত থেকে এবং ১৪ ডিসেম্বর দিনব্যাপী আরো একটি ডিপ্রেসন রয়েছে। সময় হয়তো একটু শিফট করে এদিক-সেদিক হতে পারে। ফলে দেশের নর্দান সাইড অর্থাৎ সিলেটের জৈন্তা, সুনামগঞ্জসহ রংপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত একটু বেশি হবে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার মো. হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ১ মিলিমিটার। আজকের তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার দেশব্যাপী নদীবন্দরগুলোতে ৩ নং বিপদ সংকেত চলছে।
বায়ুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ চাপ কমে যাবার ফলে একটি ডিস্টারবেন্স তৈরি হয়। এই ডিস্টারবেন্স থেকেই আবহাওয়াতে ডিপ্রেসনগুলোর সৃষ্টি বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭
বিবিবি/আরআই