মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের ডলুছড়া এলাকার লেচুবাড়ির বিপরীত পাশে অবস্থিত পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সুউচ্চ একটি পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বিলাশাকৃতির পাহাড়কে কেটে কেটে বিনষ্ট করা ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় কেয়ারটেকার মসলু মিয়া বলেন, এই লেবু-আনারস চাষাবাদের জাগয়াটি লন্ডন প্রবাসী খাদেমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কিনেছেন। এখানে প্রায় দুই মাস ধরে কোদাল দিয়ে পাহাড়ের মাটির কেটে কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। মাটি ভরাটে ঠিকাদারের দায়িত্বে রয়েছে জামাল।
এলাকার এইচএসসি পরীক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, আমরা শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতিসাধনের দৃশ্যগুলো দেখতে চাই না। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে নানা বয়েসের পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। পাহাড়, টিলা কেটে, গাছপালা উজার করে শ্রীমঙ্গলের প্রকৃতিকে এভাবে ধ্বংস করা হয়ে শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য আর থাকবে না।
পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে যেভাবে পাহাড় টিলা এবং গাছপালা কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে করে শ্রীমঙ্গল তার আপন সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে।
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে জায়গাতে এই পাহাড়টি কাটা হয়েছে এটি ডিসি খতিয়ানভুক্ত সরকারি জায়গা। দীর্ঘদিন ভোগদখলের সূত্রে এই ডলুছড়া এবং মহাজিরাবাদ মৌজার কিছু ভোগদখলকারী মানুষ আইনের ফাঁকফোকরে সরকারি জায়গাতে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে নিজের জায়গা বলে দাবি করে চলেছে। আসলে এগুলো সবই অবৈধ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জমিগুলো পুনরুদ্ধারের দাবি উত্থাপন করেন পরিবেশবাদী মো. সালাইউদ্দিন আহমেদ।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন, আমি এলাকাটি পরিদর্শন করে এসেছি। পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ