ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বর্ণিল প্রজাপতি ‘ফটিক সিন্ধু’ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
বর্ণিল প্রজাপতি ‘ফটিক সিন্ধু’  দৃষ্টিনন্দন বর্ণিল প্রজাপতি ‘ফটিক সিন্ধু’। ছবি: অমিত কুমার নিয়োগী

মৌলভীবাজার: রঙ আর সৌন্দর্যে প্রজাপতির জুড়ি মেলা ভার। অতিনিরীহ এই পতঙ্গগুলোর উড়ন্ত উপস্থিতি প্রাকৃতিক পরিবেশের সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের জানান দেয়। বনপ্রকৃতির নান্দনিক সৌন্দর্য বারবার প্রকাশিত হয় তার ডানার আপন ছন্দে। কালো আর সবুজ রঙের মাখা এ প্রজাপতিটি দেখলে চোখ জুড়ে যায়।অরণ্যপ্রকৃতির স্নিগ্ধ নিঃশ্বাস টেনে দিব্বি বেঁচে আছে পৃথিবীর ক্ষুদ্রপ্রাণ হয়ে।

প্রজাপতি গবেষক অমিত কুমার নিয়োগী বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ প্রজাপতির প্রচলিত বাংলা নাম ‘ফটিক সিন্ধু’। এর ইংরেজি নাম কমন ব্লুবোতল।

বৈজ্ঞানিক নাম Graphium sarpedon প্যাপিলিওনিডি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এই প্রজাপতিটির পাখার প্রসারতার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০-৯০ মিলিমিটার। এই ছবিটি আমি লাউয়াছড়া থেকে তুলেছি। ’

‘বাংলাদেশে Graphium গণের অন্তর্ভুক্ত আরও সাত ধরনের প্রজাপতি পাওয়া যায়। এগুলো- Graphium agamemn, Graphium eurypylus, Graphium doson, Graphium nomius, Graphium antipathies, Graphium megarus Graphium xenocles এই প্রজাপতিটিগুলোর পুরুষ ও মেয়ে উভয়েরই ডানার নিচের রঙ একই ধরনের। ’

রঙের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমন ব্লুবোতলে একটি ম্যাকুলার ব্যান্ড রয়েছে যা উভয় পাখনার উপরে এবং নিচে উভয় দিকে দৃশ্যমান পশ্চাৎ পাখনার ভেতরের মার্জিন ও সম্মুখ পাখনার উপরের অংশ দাঁড়িয়ে যায়। এ ব্যান্ড নীল-সবুজ থেকে গভীর নীলের বিভিন্ন রঙ দিয়ে ফ্যাকাশে সবুজ আভা রয়েছে, যা পরিবর্তিত হয়। পশ্চাৎ পাখনার উপরে অংশে নীল রঙের দাগ এবং পশ্চাৎ পাখনার নিচে অর্থাৎ ব্যাসাল ও উপরের অংশে লাল ঘূর্ণায়মান দাগ রয়েছে।

এই প্রজাপতির প্রাপ্তিস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফটিক সিন্ধু’ ঢাকাতে মাঝে মাঝে দেখা যায়। আমাদের দেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও দেখা যায়। তবে বিরল এই প্রজাপতিটি খুব সকালের পড়ন্ত রোদে হাল্কা আদ্র বা ভেজা ছড়ার (দুই পাহাড়ের মাঝে পানির প্রবাহের পথ) বালুতে, ভেজা কাগজ বা টিস্যু, প্রাণীর মল, পচা বস্তু থেকে খনিজপদার্থ আহরণ করে। এরা সাধারণত পাতার উপরে বসে ও বিশ্রাম নেয়।

জীববৈচিত্র্য গবেষণা ও সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার ‘আইইউসিএন’  ‘লাল-তালিকা ২০১৫’-তে এ প্রজাতিগুলোকে বাংলাদেশে অরক্ষিত (VU) বলে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান প্রজাপতি-গবেষক অমিত কুমার নিয়োগী।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।