ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

উজ্জ্বল ইস্পাত-নীল পিঠের পাখি ‘পাতি-আবাবিল’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
উজ্জ্বল ইস্পাত-নীল পিঠের পাখি ‘পাতি-আবাবিল’

মৌলভীবাজার: সকালের রোদ তীব্রতা ছড়াচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত ধানক্ষেতে। বাঁশের খুঁটির উপর থেকে একটি পাখি হঠাৎ উড়ে এসে পোকা ধরে পুনরায় নির্দিষ্ট বসার জায়গাটিতে ফিরে যাচ্ছে।

একই স্থানে পোকার সংখ্যা বেশি হওয়ায় খাবার সংগ্রহের এ কার্যক্রম কয়েকবারের। থেমে নেই; তা চলছে বিরামহীন।

এই শিকারের দৃশ্য বড়ই দৃষ্টিনন্দন। এর ফলে প্রমাণিত হয়েছে পাখিটির ফুর্তিবাজ, আমুদে এবং খেলুড়েসুলভ মনোভাবটি।
 
এ পাখিটির নাম ‘পাতি-আবাবিল’। ইংরেজি নাম Barn Swallow এবং বৈজ্ঞানিক নাম Hirundo rustica। তবে ‘চাতক পাখি’ নামেও এর পরিচিতি রয়েছে।
 
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, এরা আমাদের বিরল আবাসিক পাখি। সারাদেশেই আছে; তবে এ প্রজাতিটিকে কম দেখা যায়।
 
পাখিটির শারীরিক বর্ণনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পাখিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ৭ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির তামাটে কপালসহ পিঠ উজ্জ্বল ইস্পাত-নীল। উড়ার সময় লেজতল-ঢাকনির সাদা সাদা তিলা স্পষ্ট চোখে পড়ে। ছেলে এবং মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন।
 
খাদ্য তালিকা সম্পর্কে ইনাম আল হক বলেন, পাতি-আবাবিল মূলত ছোট আকারের পোকা-শিকারি পাখি। উড়ে বেড়ানো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পোকা, বিটল পোকা প্রভৃতি তার টার্গেট। সাধারণত প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষিজমিতে বিচরণ করে। এরা দলবদ্ধ পাখি এবং ঝাঁকবেঁধে থাকতে পছন্দ করে। উড়ন্ত পোকার খোঁজে শস্যক্ষেত কিংবা পানির উপর অবিরাম উড়ে বেড়ায়। সকালের দিকে দলবেঁধে বৈদ্যুতিক তারের উপর বসে থাকে।   
 
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং পুরো এশিয়াজুড়ে এর বৈশ্বিক বিস্তৃতি রয়েছে বলে জানান প্রখ্যাত পাখি গবেষক ইনাম আল হক।
  
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৯
বিবিবি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।