এই ছোট উদাহরণটিই জানান দিচ্ছে, আমাদের হাওর-বাওর, বিল-জলাশয়ের মাছেরা আসলে ভালো নেই। তাদেরই কোনো কোনো প্রজাতির মাছগুলো চিরতরে হারিয়ে গেছে বা হারিয়ে যেতে বসেছে।
ভাবতে অবাক লাগে, আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমি যে মাছগুলো বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর আগেও পাওয়া যেতো এখন তার দেখাই পাওয়া যায় না। এর মধ্যে কোনো কোনোটার আবার দেখা পাওয়া গেলেও সেগুলো কৃত্রিম ফিশারির। মুক্ত জলাশয়ের নয়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী এ মাছটি প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, গোল-লেজ একঠোঁটি’ মাছটি আমাদের সিলেট অঞ্চলের জলাভূমিতে পাওয়া যেতো। এছাড়াও এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদীসমূহের মাছ ছিল। এটি মিঠাপানির মাছ। তবে এখন এই মাছটি আর তেমন চোখে পড়ে না। বিপন্ন হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এই মাছটি বৈজ্ঞানিক নাম Dermogenys pusilla। বাংলায় এই মাছটিকে ‘গোল-লেজ একঠোঁটি’ ছাড়াও ‘একঠোঁটি কাকিলা’ এবং ‘একঠোঁটা’ এই দুটো নামে অভিহিত করা হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এদের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টিমিটার। মাছটির দেহ সরু এবং ঠোঁট লম্বাটে। আমাদের প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো আজ নানান ধরনের দূষণ এবং মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার। এর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে আমাদের মহামূল্যবান মৎস্যসম্পদের ওপর। ইতোমধ্যে আমাদের হাওর-বিল-নদী-নালা থেকে নানা প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। এই ‘গোল-লেজ একঠোঁটি’ তার একটি।
সুস্বাদু এ মাছটিকে এখন কেবল অ্যাকুয়ারিমেই খুঁজে পাওয়া যায় বলে যোগ করেন মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
বিবিবি/এএটি